আন্তর্জাতিক

ঘরের বাইরে পা দিতেই ঠান্ডায় জমে গেল চুল!

ঘরের বাইরে পা দিতেই ঠান্ডায় জমে গেল চুল! - West Bengal News 24

ঘরের বাইরে পা দিতেই চুল জমে গেল তরুণীর। চার দিকে বরফের স্তূপ জমেছে। তার মাঝে খোলা চুলে বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। জমে যাওয়া চুলের একটি ভিডিও তিনি পোস্টও করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সুইডেনে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি নিচে থাকার সময় বাইরে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী। আর তখনই চুল জমে যায় তার। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, সুইডেনের উত্তরাঞ্চলে এই মুহূর্তে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের বেশ নিচে। ভাইরাল ভিডিওটি যখন ধারণ করা হয়েছে, তখন সেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি নিচে ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Elvira Lundgren (@exploring.human)

কনকনে ঠান্ডায় চুল জমে যাওয়া ওই তরুণীর নাম এলভিরা লুন্ডগ্রেন। সুইডিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ প্রভাবশালী এই তরুণী জানিয়েছেন, তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি নিচে নেমে গেছে শুনেই বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। মূলত বাইরে বের হলে কী হয়, সেটিই দেখতে চেয়েছিলেন তিনি।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ঠান্ডায় জমে যাওয়া চুল মাথার ওপরে মুকুটের মতো তুলে ধরেছেন ওই তরুণী। এছাড়া বার বার চুল ওপরে তুলে এবং নিচে নামিয়ে দেখাচ্ছিলেন তিনি।

অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকেই ঠান্ডায় তরুণীর চুলের অবস্থা দেখে বেশ মজা পেয়েছেন। অনেকে আবার এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় যথেষ্ট প্রস্তুতি এবং সুরক্ষা ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়ার বিরোধিতাও করেছেন। এতে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে দাবি তাদের।

এছাড়া তরুণীর এই কাণ্ডকে নিছক ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার এর মধ্যে কেবল মজাই খুঁজে পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, সুইডেনে গত ২৫ বছরের মধ্যে জানুয়ারির শীতলতম রাত ছিল গত বুধবার। সেদিন দেশটিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের ৪৩.৬ ডিগ্রি নিচে। আর ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে সুইডেনে মাইনাস ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (মাইনাস ৫৬.২ ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য