প্রযুক্তি

গাছের প্রাণ আছে, কথা বলে! জাপানি গবেষকের কাজে বিজ্ঞানী ‘বোসে’র থিওরি প্রমাণিত

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

গাছের প্রাণ আছে, কথা বলে! জাপানি গবেষকের কাজে বিজ্ঞানী ‘বোসে’র থিওরি প্রমাণিত - West Bengal News 24

১২৩ বছর আগে বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু আবিষ্কার করেছিলেন, গাছেরও প্রাণ আছে। সদ্য যা সামনে এসেছে বলা যায় জগদীশ বসুর সেই তত্বের উপরই দাঁড়িয়ে।

গাছেরা একে অপরের সঙ্গে ‘কথা’ বলে, এই আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিলেন জাপানের এক বিজ্ঞানী। জাপানের সাইতামা ইউনিভার্সিটির মলিকিউলার বায়োলজিস্ট মাসাতসুগু টোয়োটা।

তিনি দুটি গাছ নেন। একটি টমোটো গাছের পাতায় শুঁয়োপোকা ছাড়া হয়। পাতাগুলি শুঁয়োপোকা খেতে থাকে। পাশেই ছিল আরাবিডোপসিস থালিয়ানা গাছ। তাতে ক্যালসিয়াম আয়ন ব্যবহার করা হয়। বায়োসেন্সরের ব্যবহারে ধরা পড়ে দুই গাছের অনুভূতি। টমোটো পাতা থেকে ‘ভোলাটাইল অরগ্যানিক কম্পাউন্ড’ ছড়িয়ে দেয় আরাবিডোপসিসে।

এই ‘কম্পাউন্ডকে’ গ্রহণ করে আরাবিডোপসিস গাছটি বুঝতে পারে যে পাশেরটি আক্রান্ত। যার জেরে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং তা গাছের গোটা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে শরীরকে সতর্ক করতে শুরু করে। টয়োটার ব্যবহার করা ক্যালসিয়াম আয়নে আরাবিডোপসিসের পাতায় উজ্জ্বল হলুদ সঙ্কেত দিতে থাকে। বায়বীয় যৌগের আদানপ্রদানে এটা হয়।

মলিকিউলার বায়োলজিস্ট বলছেন, “উদ্ভিদ কখন কীভাবে নিজেদের মধ্যে সতর্কবার্তা পাঠায় তা আবিষ্কার হল। এর থেকে প্রমাণিত যে, একটা বড় জিনিস আমাদের চোখের আড়ালে রয়েছে। যা সঠিক সময় নিজেদের তথ্য আদানপ্রদান করে এবং নিজেদের সতর্ক করে।” একদল গবেষককে সঙ্গে নিয়ে তিনি গাছেদের এই কথোপকথন ক্যামেরাবন্দি করেছেন। জার্নাল নেচার কমিউনিকেশন পত্রিকায় তা প্রকাশ হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য