ষোল বছর আগে, ২০০৭ সালে বেঙ্গালুরু একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সচিন বনসলের সঙ্গে যৌথভাবে একটি অনলাইন বইয়ের দোকান হিসেবে, এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিনি বনসল। ওয়ালমার্ট-মালিকানাধীন ফ্লিপকার্ট সংস্থার বোর্ড থেকে ইস্তফা দিলেন ই-কমার্স ফার্মটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
সূত্রের খবর , সংস্থার শুরু থেকেই এখনও পর্যন্ত ফ্লিপকার্টে অন্তত একশ থেকে দেড়শ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছেন বিনি। ইস্তফা দেওয়ার পর বিনি বনসল বলেছেন, “গত ১৬ বছরে ফ্লিপকার্ট গোষ্ঠী যে সাফল্য পেয়েছে, তার জন্য আমি গর্বিত। ফ্লিপকার্ট এখন অত্যন্ত শক্তিশালী জায়গায় রয়েছে। শক্তিশালী নেতৃত্বের হাতে রয়েছে। ভবিষ্যতেও রূপরেখাও স্পষ্ট। সংস্থা এক সক্ষম হাতে রয়েছে জেনেই আমি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
২০১৮ সালে, ১৬০০ কোটি ডলারে ফ্লিপকার্টের ৭৭ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছিল ওয়ালমার্ট। ওই অধিগ্রহণ চুক্তির শর্তে বলা ছিল, অন্তত পাঁচ বছর আর কোনও নতুন ই-কমার্স সংস্থা খুলতে পারবেন না বিনি বনসল। একে বনসল নিজের সংস্থা খোলার ব্যাপারে মনস্থির করে ফেলেছেন।
২০২৩-এ সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। তিনি যে ফ্লিপকার্ট ছাড়তে চলেছেন, তার ইঙ্গিত কয়েক মাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। গত আগস্টেই ওয়ালমার্টের কাছে তাঁর কাছে থাকা ফ্লিপকার্টের অবশিষ্ট শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছিলেন বিনি বনসল।