কানাডা

নারী ও মেয়েদের হিংস্রভাবে নিপীড়নের অভিযোগে ইরানিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা

নারী ও মেয়েদের হিংস্রভাবে নিপীড়নের অভিযোগে ইরানিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কানাডা
Canadas Foreign Affairs Minister Mélanie Joly

কানাডার সরকার ইরানের দু’জন ব্যক্তির উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, যাদের ওপর অভিযোগ রয়েছে যে তারা ইরানে নারী ও মেয়েদের ওপর নিষ্ঠুর দমনের সাথে জড়িত।

বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলি আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই ঘোষনা করছেন।

জলি বলছেন, ইরানি নারী ও মেয়েরা ক্রমশঃ আরো বেশি দমনমূলক পরিবেশের সম্মুখীন হচ্ছে, যেখানে নিজেদের মত প্রকাশ বা মৌলিক অধিকার দাবি করার জন্য তাদের আঘাত বা মৃত্যুর ঝুঁকি নিতে হয়।

২০২২ সালে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে কানাডা এখন পর্যন্ত ১৫৫ জন ব্যক্তি এবং ৮৭টি সত্ত্বারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

পুলিশের হিজাব ঠিকমতো না পরার অভিযোগে গ্রেফতারের পর মামলা চলাকালীন মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়।

টরন্টোর ট্রানজিট ব্যবস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং একজন জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্যকে “নারীদের বিরুদ্ধে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দমনমূলক পদক্ষেপ” গ্রহণের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।

জলির দফতর একটি বিবৃতিতে জানায়, তেহরান মেট্রোর নির্বাহী কর্মকর্তা মাসউদ দোরোস্তি পাবলিক ট্রানজিটে দেশের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন লাগু করেন।

এছাড়াও, “women, life, freedom” (মহিলা, জীবন, স্বাধীনতা) নামক আন্দোলনে জড়িত বিক্ষোভকারীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সমর্থক রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ জোহরেহ এলাহিয়ানকেও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

জলির দফতর বলেছে, “এই দুই ব্যক্তি তাদের প্রভাবের অবস্থানকে ইরানে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে ক্রমশঃ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দমনমূলক পদক্ষেপের আহ্বান জানানো বা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবহার করেছেন।”

নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তিরা কানাডায় প্রবেশে এবং কানাডিয়ানদের সাথে কোনো ব্যবসায়িক কার্যকলাপ করতে নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button