দেশজুড়ে কার্যকর CAA , ঘোষণা কেন্দ্রের। আজ রাত ১০ টায় কার্যকর হতে পারে CAA , এমনটা জানা গেলেও সপ্তাহ শুরুর সন্ধ্যাতেই জারি অর্ডিন্যান্স। উল্লেখ্য , গত কয়েক মাসে শাসক দলের একাধিক নেতা দাবি করেছিলেন, খুব শিগগির সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট জারি হতে চলেছে দেশে। এদিন সেই দাবিতে সিলমোহর দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সোমবারের সন্ধ্যায় কার্যত আচমকাই CAA ঘোষণা করল কেন্দ্র। এই আইনের উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত।
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদি সরকার। এদিন কেন্দ্রের ঘোষণার পরেই দেখা গেল, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে আনন্দ মেতে উঠেছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ লিখেছেন, চার বছর তিন মাস লেগে গেল CAA লাগু করতে। যেটি সংসদে পাশ হয়েছিল ২০১৯ সালে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, তাঁর সরকার কর্পোরেট সংস্থার মতো সময় মেনে কাজ করেন। CAA লাগু করতে সময় নেওয়াতে বোঝা গেল, প্রধানমন্ত্রী কত বড় মিথ্যুক।
২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিএএ-র বিরুদ্ধে আর্জির প্রথম শুনানি শুরু হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। ওই বছরেরই ১১ ডিসেম্বর সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।