প্রযুক্তি

হার্ডওয়্যার আপগ্রেড ছাড়াই কম্পিউটারের গতি দ্বিগুণ করা যাবে: গবেষণা

হার্ডওয়্যার আপগ্রেড ছাড়াই কম্পিউটারের গতি দ্বিগুণ করা যাবে: গবেষণা

কল্পনা করুন আপনার ল্যাপটপ কোনো হার্ডওয়্যার আপগ্রেড ছাড়াই শুধু স্মার্ট সফটওয়্যার অ্যালগরিদম প্রয়োগের মাধ্যমেই গতি দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এই কল্পনা বাস্তবে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নতুন এক গবেষণা। বর্তমান প্রজন্মের ডিভাইসগুলোর কাজের ধরন পরিবর্তন করে কম্পিউটারের গতি দ্বিগুণ করবে নতুন এই উদ্ভাবন।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইড (ইউসিআর) থেকে এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, এই গবেষণার ফলাফল বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করছে। শুধু হার্ডওয়্যারের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নয় বরং দক্ষতা বৃদ্ধি ও উল্লেখযোগ্যভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে এই উদ্ভাবন সাহায্য করবে।

উদ্ভাবিত কৌশলটিকে বলা হচ্ছে সাইমালটেনাস অ্যান্ড হেটারোজেনাস মাল্টি থ্রেডিং (এসএইচএমটি)। আধুনিক মোবাইল ফোন, কম্পিউটারসহ যেসব গ্যাজেট ডেটা প্রসেসিংয়ের জন্য একাধিক প্রসেসরের ওপর নির্ভর করে সেই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই কৌশলটি উদ্ভাবন করা হয়েছ।

আরও পড়ুন :: বাড়ল আধার কার্ড আপডেটের সময়সূচি ! দেখে নিন

ইউএসআরের কম্পিউটার প্রকৌশলী হাং উই সেং বলেন, এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে একটি প্রসেসর থাকলে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ডিভাইসে অতিরিক্ত প্রসেসর যোগ করতে হবে না।

যদিও প্রসেসর শব্দটি এখনো আধুনিক হার্ডওয়্যার ডিভাইসের মস্তিষ্ক বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু বর্তমানের ডিভাইসে সাধারণত একাধিক প্রসেসর একসঙ্গে কাজ করে। গ্রাফিকসের জন্য গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) রয়েছে। আবার মেশিন লার্নিংয়ের জন্য একটি টেনসর প্রসেসিং ইউনিট (টিপিইউ) রয়েছে। সাধারণ কম্পিউটিংয়ের জন্য কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের উল্লেখ আলাদাভাবে আর করা হয় না।

বিশেষায়িত প্রসেসরের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। কারণ সেগুলো নির্দিষ্ট কাজের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। একটি স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম চালানোর জন্য যেভাবে কোড ব্যবহার করা হয়, একটি জেনারেটিভ এআই টেক্সট বটের জন্য একইভাবে কোড ব্যবহার করা হয় না।

আবার এ ধরনের আলাদা আলাদা প্রসেসরের নেতিবাচক দিক হলো—বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে ডেটা বণ্টিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন বাধা আসতে পারে। ফলে কাজের গতি ও দক্ষতায় প্রভাব পড়তে পারে। একাধিক প্রসেসরে একই সঙ্গে আরও সাব টাস্ক চালানোর মাধ্যমে গবেষকেরা হারানো সময় ও শক্তি ফিরে পাওয়ার আশা করছেন।

আরও পড়ুন :: ফোন লক করেও আপনি দেখতে পারবেন Google Map ! কিভাবে সম্ভব ? জেনে নিন

এই পরীক্ষার সেটআপে এআরএম করটেক্স–এ ৫৭ সিপিইউ, এনভিডিয়া জিপিইউ ও গুগল এজ টিপিইউ ছিল। এসএইচএমটি ব্যবহার করে একটি নমুনা কোড চালিয়ে দেখা যায়, এর মাধ্যমে ১ দশমিক ৯৫ গুণ গতিতে প্রসেসিং হচ্ছে এবং বৈদ্যুতিক শক্তির ব্যবহার ৫১ শতাংশ কমে গেছে।

গবেষকেরা বলেন, ‘অন্তর্ভুক্ত প্রোগ্রামিং মডেলগুলো প্রতিটি কোড অঞ্চলের জন্য শুধু সবচেয়ে দক্ষ প্রসেসিং ইউনিটটি ব্যবহার করার ওপর ফোকাস করে।’

এই প্রযুক্তি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। প্রস্তাবিত সিস্টেমটি এখনো পরীক্ষাধীন, এটি একটি ধারণামাত্র। তাই স্মার্টফোন ও স্মার্টওয়াচগুলোতে অবিলম্বে এই প্রযুক্তি আসছে না।

তথ্যসূত্র: সায়েন্স অ্যালার্ট

আরও পড়ুন ::

Back to top button