মতামত

নারী প্রগতি, নারী উন্নয়নে শীর্ষে বাংলা তাই বাংলায় মা মাটি মানুষের সরকারের জয়ধ্বনি

দেবাঙ্কন সরকার

নারী প্রগতি, নারী উন্নয়নে শীর্ষে বাংলা তাই বাংলায় মা মাটি মানুষের সরকারের জয়ধ্বনি

প্রশ্ন: আপনি কি বাংলা তথা ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং এর প্রভাব সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করতে পারেন?
উত্তর: পশ্চিমবাংলার সরকার ২০১১ সালের পর একজন এমন উদার এবং উন্নয়নমূলক শিক্ষামূলক প্রকল্প মানুষের জন্য করেছেন তার একমাত্র কারিগর মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা ব্যানার্জির লড়াই প্রতিটা বাংলার মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষদর্শী। আজ বাংলার নারীরা লক্ষীর ভান্ডারের আওতায় হাজার বা বারোশো টাকা করে পাচ্ছেন শুধু তাই নয় আজ নারীরা প্রত্যেকটি পরিবারের প্রধান তারাই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অধিকারী, এছাড়াও একজন গরিব ফুলের ছাত্রী ও কন্যাশ্রী আওতায় সুষ্ঠুভাবে পড়াশোনা সুযোগ পাচ্ছেন দশম শ্রেণীর পাশের পর এই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে মোবাইলের জন্য ১০ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন এবং রুপশ্রী প্রকল্পের আওতায় তারা বিয়ের সময়ও ২৫ হাজার টাকা করে এককালীন পাচ্ছেন।

এবার প্রশ্ন উঠতে পারে নারী উন্নয়ন নারী প্রগতি এর মধ্যে দিয়ে কোন বাস্তব পরিকল্পনা কি রূপায়ণ হতে পারে? আমি বলব হ্যাঁ হবে কারণ আজ যে দেশে নারীরা বাড়ির বাইরে বেরোতে ভয় পেত একটা সময় সেই নারী রাই সমাজের কারিগর হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই বাংলা একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে না “যে রাধে সে চুলও বাধে”।

নারী প্রগতি, নারী উন্নয়নে শীর্ষে বাংলা তাই বাংলায় মা মাটি মানুষের সরকারের জয়ধ্বনি
দেবাঙ্কন সরকার

ভারত বর্ষ দেশের কথা যদি বলে তাহলে বলব ব্যক্তি মানুষকে কালিমালিপ্ত করায় কেন্দ্রের ডাবল ইঞ্জিন সরকারের মূল উদ্দেশ্য আচ্ছে দিনের নামে ভাঁওতাবাজি বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষের টাকা আটকে রেখে বিজেপি সরকার রাজনীতিকে কলুষিত করছেন। তাদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার ২৫১ টাকার মোবাইল আজও এসে পৌঁছায়নি। কেন্দ্রের উদ্দেশ্য একটাই ধর্মের নামে বিভেদের রাজনীতি দেখিয়ে সেন্টিমেন্টের রাজনীতি করা আমি মনে করি বাংলার ভোট বাক্সে এর কোন প্রভাব পড়বে না নিশ্চিত মানুষ এত বোকা নয় এবং আগামী দিনে বাংলায় আমাদের দেশকে পথ দেখাবে এটাই আমি মনে করি।

প্রশ্ন: রাজনীতিতে আপনার প্রবেশের অনুপ্রেরণা কি?
উত্তর: দেখুন আমার রাজনীতিতে আসা বলতে পরিবার আমার রাজনৈতিক পরিবার ছোটবেলায় সালটা প্রায় তখন ২০০৮ বা ২০০৯ তখন থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম দলের বিভিন্ন স্লোগান দিতাম সেই সময়টা মনে করে দেখুন দল কিন্তু শাসন ক্ষমতা ছিল না তখন কিন্তু সেই ৩৪ বছরের পৈশাচিক সরকার বাম সরকারের আয়তায় ছিল এবং আমার সরকার ছিলেন ১৯৯৮ সালে দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার বুড়িরহাট এক নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এছাড়াও আমার পিসেমশাই স্বর্গীয় দয়াল মন্ডল যার সাথে রাজনীতি করেছি আমি হাত ধরে যিনি আমাকে রাজনীতির শিখিয়েছেন তিনি ছিলেন রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হিজলি দুই অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ২০২১ সালে আমরা একসাথে রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভায় রাজনীতির ময়দানে লড়াই করে ছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার তিন মাসের মধ্যে করোনা আমার পিসেমশাই কে আমার পরিবারের থেকে কেড়ে নিলো।

আর আবেগ ভালোবাসা এবং যার মতাদর্শে রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ তিনি আমাদের দলের সুপ্রিমো এবং জননেত্রী মমতাময়ী মা বাংলার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং যার সেনাপতিকে আমরা লড়াই করে চলেছি দিল্লি ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বিরুদ্ধে তিনি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রশ্ন: কিভাবে আপনি আপনার দলের বিরুদ্ধে সমালোচনার প্রতিক্রিয়া করবেন?
উত্তর: দেখুন রাজনীতিতে সমালোচনা হবেই আজকে গণতন্ত্র মানে সমালোচনা না থাকলে সেখানে রাজনীতি হয় না আর বিরোধীদের কথা যদি বলেন বিরোধীরা বাংলার মানুষের উন্নয়ন দেখতে পারেনা, আজ নারীরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে উপার্জন করছে বিরোধীরা কয়েকটা এজেন্সী রাজ চালিয়ে বাংলার মানুষের গর্জন কে দমিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলার মানুষ বুঝে গেছে কোন মানুষগুলো সারা বছর সব সময় ২৪ ঘন্টা মানুষের পাশে থাকছে আর কোন কোন মানুষগুলো শুধুমাত্র ভোটের সময়ই রাজনীতি করতে আসছে এবং তাদেরকে দেখা যায় বিপদের সময় শুধুমাত্র হেলিকপ্টারের জানলা দিয়ে উঁকি মারতে!

প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের জন্য ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে?
উত্তর: বাংলার মানুষ যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমুখী প্রকল্পের দ্বারা সুষ্ঠুভাবে সংসার চালাচ্ছেন এবং জীবন যাপন করছেন তার এক ইঞ্চিও আমাদের দিল্লির ডবল ইঞ্জিন সরকার করে দেখাতে পারবে না। এটুকু নিশ্চিতভাবে আমি বলতে পারি।। আপনারা যদি একটু পর্যবেক্ষণ করেন দেখবেন তরুণ প্রজন্ম থেকে প্রবীণ প্রজন্ম আজও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর দিকে তাকিয়ে তার উন্নয়নকে লক্ষ্য রেখে ভোট দেন। তাই আমি মনে করি সংখ্যালঘু ভোট বলুন বা নতুন ভোট নবপ্রজন্মের ভোট বলুন কোনটাই আমাদের দলের কাছে কোন রকম ফ্যাক্টর নয়। আর বিরোধীরা যা বলছেন বিরোধীদের কথা অনুযায়ী আমি একটাই কথা বলবো তাদেরকে মানুষ বাংলার মানুষ ধর্মবিভেদ নয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।

প্রশ্ন: আপনাদের দলের প্রার্থী অভিনেতা দেবের সম্পর্কে বিরোধী দলের প্রার্থী অপর এক অভিনেতা হিরন বলছেন উনি নাকি ৫ বছরে ঘাটাল বাসীর জন্য কিছুই করেন নি আপনি কি বলবেন?
উত্তর: বিরোধী দলের কাজ সারাদিন কালিমালিপ্ত করা বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে যারাই যান তারা ধোয়া তুলসী পাতা হয়ে যান। আমি হিরন বাবুকে বলবো আপনি যে তিনবছর খড়গপুর এর জন্য কি উন্নয়ন করেছেন সেটা বললে মানুষ উপকৃত হয়, আর আমাদের প্রার্থী দেব যতবাদ সাংসদ এ দাঁড়িয়েছেন একটাই আবেদন করেছেন যে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান কার্যকরী করার জন্য কিন্তু কেন্দ্রের ডবল ইঞ্জিন সরকার বারবার আমাদের বাংলার মানুষকে উপেক্ষা করে চলেছেন। সেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান হুগলির আরামবাগে সভা থেকে আমাদের মমতাময়ী মা বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছেন ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান রাজ্য সরকার করবে এবং তার জন্য আদর্শ নির্বাচন বিধি মেনে নির্বাচন কমিশনকে চিঠিও দিয়েছেন। আর এত যে কথা বলছেন বিজেপির প্রার্থী হিরণ বাবু তাকে একটাই কথা বলব যে আপনি ব্যক্তি নিয়ে না ভেবে নিজে নিজের চরকায় তেল দিন তাহলে ভালো হবে। আমাদের প্রার্থী দীপক অধিকারী অভিনেতা দেব যেভাবে মানুষের জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন হয়তো তা হিরন বাবু মেনে নিতে পারছেন না।

প্রশ্ন: সামনে আগামী লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে আপনি ভোটারদের কি বলবেন?
উত্তর: প্রথমেই আমি বাংলা তথা দেশের সকল মানুষদের নতমস্তকে প্রণাম জানাবো এবং দেশের গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আহবান জানাবো। আর নব প্রজন্মের ভোটারদের উদ্দেশ্যে তাদের প্রথম ভোট তাদের একটা ভোট দেশের গণতন্ত্র রক্ষার ভোট উন্নয়নের জন্য ভোট। আপনারা নিজেরাই পারেন গনতন্ত্র এর জন্য লড়াই করে দেশকে বাঁচাতে। সকলে ভালো থাকবেন এবং পরিবারকে নিয়ে সুস্থ থাকবেন। মাথায় রাখবেন একটি ভোট একটি দেশের গনতন্ত্র রক্ষার ভোট, তাই বিবেচনা করে উন্নয়নের স্বার্থে নিজের ভোট দিন।

লেখক : দেবাঙ্কন সরকার, প্রাক্তন ছাত্র,বঙ্গবাসী কলেজ – ভূগোল বিভাগ

আরও পড়ুন ::

Back to top button