রাজ্যশিক্ষা

SSC মামলায় রাজ্যকে ঘাড়ধাক্কা, আদালতের নির্দেশে চাকরি হারালেন প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ বেআইনি চাকরি প্রাপক

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

SSC মামলায় রাজ্যকে ঘাড়ধাক্কা, আদালতের নির্দেশে চাকরি হারালেন প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ বেআইনি চাকরি প্রাপক

আদালতের নির্দেশে চাকরি হারালেন প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ বেআইনি চাকরি প্রাপক। SSC মামলায় বাতিল ২০১৬ প্যানেলের চাকরি তো গেল , এবার সঙ্গে ফেরত দিতে হবে বেতনও। তাও আবার ১২ শতাংশ সুদ সহ। SSC মামলায় রাজ্যকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে যুগান্তকারী রায়দান বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের।

এদিনের শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ , বিচারপতি দেবাংশু বসাক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার কোথাও জানত, এই প্যানেলে কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়েছে, তার জন্যই সুপার নিউমেরিক পোস্টের আবেদন তারা করেছিল। সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগ ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত। তাই তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত হবে। যাঁদের সম্মতিতে এই অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়েছে, প্রয়োজনে তাঁদেরও ডাকতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতকে।

প্রসঙ্গত, আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ওএমআর শিটগুলি বৈধ। নতুন করে টেন্ডার ডেকে নতুন সংস্থার হাতে দায়িত্ব দেওয়া হবে ওএমআর শিট নতুন করে মূল্যায়ন করা হবে। ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার ভিত্তিতে তৈরি হবে নতুন প্যানেল। তাতে যোগ্যরাই থাকবেন বলে আশাবাদী সকলে।

আদালতের নির্দেশ, যাঁরা বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন (র্যাঙ্ক জাম্প, ওএমআর শিট বিকৃতি, প্যানেল বহির্ভূত) তাঁদের সমস্ত বেতন ফেরাতে হবে। দিতে হবে ১২ শতাংশ সুদ। বেতন ফেরত হয়েছে কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ডিআই-কে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা নিজের যোগ্যতা আদালতে প্রমাণ করে কোর্টের নির্দেশেই নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের বেতন ফেরাতে হবে না বলেই খবর আদালত সূত্রে।

যোগ্য অথচ চাকরি হারালেন যাঁরা, তাঁরা চাইলেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। অন্যদিকে অযোগ্য চাকরিহারাদের জন্য থাকছে আদালতের দরজা খোলা। শ্রমের বিনিময়ে বেতন পেয়েছেন – বেতন কেন ফেরাবেন? অন্যদিকে ইতিমধ্যেই মামলাকারীদের তরফে ক্যাভিয়েট দাখিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিন বছর ধরে এই মামলা গোটা বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় অভিঘাত এনেছে। হাইকোর্টের গণ্ডি পেরিয়ে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এরপর শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই গঠিত হয় হাইকোর্টের স্পেশ্যাল বেঞ্চ। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে মামলার শুনানি চলে। অবশেষে হল রায় ঘোষণা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button