কলকাতা

কে সি দাসের মিষ্টি দোকানে হানা দিল কলকাতা পুরসভা ! মিষ্টির নমুনা সংগ্রহ

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

কে সি দাসের মিষ্টি দোকানে হানা দিল কলকাতা পুরসভা ! মিষ্টির নমুনা সংগ্রহ

উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা জুড়ে যাঁদের একের পর এক আউটলেট। বিক্রিও হয় হুড়মুড়িয়ে। অত্যন্ত নামজাদা মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এবার সেই সেই কেসি দাশের মিষ্টির নমুনা সংগ্রহ করল কলকাতা পুরসভা। পুরসভার ল্যা বরেটরিতে তা পরীক্ষা হচ্ছে। চিকিৎসকরাও বলছেন, এমন তারিখ পেরনো মিষ্টি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক। দ্রুত কলকাতা পুরসভার খাদ্যা নিরাপত্তা বিভাগের আধিকারিকরা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন কে সি দাশের মিষ্টি।

সম্প্রতি কে সি দাশ থেকে মিষ্টি কিনেছিলেন কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার জ্যোতির্ময় তাঁতি। তা মুখে দিতে গিয়েই বিপত্তি। “মিষ্টিটা মুখে দিয়েই সন্দেহ হয়। কাগজের মোড়কে ছিল সন্দেশটা। মুখে দিয়েই মনে হয় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নীচের অংশটা কেমন আঁঠা আঁঠা।” জানিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন ওঠে, আমজনতা তবে কি খাচ্ছেন ? নষ্ট হয়ে যাওয়া মিষ্টি খাওয়া বিপজ্জনক। মিষ্টি নষ্ট হয়ে গেলেও অনেকেই মুখে দিয়ে তা বুঝতে পারেন না। যদি দেখা যায় মিষ্টিতে গন্ডোগোল রয়েছে সেক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে বাঙালিকে মিষ্টি খাইয়ে আসছে কেসি দাশ। কর্ণধার ধীমান চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, বাঙালি মিষ্টি তরতাজা থাকে ১২ ডিগ্রিতে। সেখানে এই মুহূর্তে শহরের তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪৩ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এই তীব্র গরমে মিষ্টি ঠিক রাখা কষ্টকর।

তবে পুরসভার খাদ্যধ নিরাপত্তা বিভাগ মিষ্টির নমুনা সংগ্রহ করায় খুশি কেসি দাশের অধিকর্তা। ধীমান বাবুর দাবি, নষ্ট হয়ে যাওয়া মিষ্টি ফেলে দিতে বলা হয়েছে দোকানের কর্মীদের। কে সি দাশের আউলেটগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও অত্যঠধিক গরমে তাপমাত্রা নির্দিষ্ট রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধীমান বাবু।

আরও পড়ুন ::

Back to top button