জাতীয়

পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ! প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করলেন রাহুল

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ! প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করলেন রাহুল - West Bengal News 24

পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে। এর কয়েকঘন্টার মধ্যে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বিষয়টিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।

ইতি মধ্যেই ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট এবং তার ব্যবস্থাপক ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী বরাবরের মতোই বিষয়টি নিয়ে নীরবতা পালন করছেন। তিনি বলেছেন, বিহার, গুজরাত ও হরিয়ানায় গ্রেফতার হওয়া থেকে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে এই পরীক্ষায় পরিকল্পিতভাবে দুর্নীতি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি প্রশ্ন ফাঁসের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

রাহুল গান্ধী বলেছেন, কংগ্রেসের ইস্তেহারে প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করে তরুণদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছিল। আর কংগ্রেস বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করার সময়, রাজপথ থেকে সংসদে চাপ তৈরি করবে। এছাড়াও দল এব্যাপারে কঠোর আইন প্রণয়নে অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট নিট-ইউজি কাউন্সেলিং-এ কোনও স্থগিতাদেশ না দিলেও ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির উদ্দেশে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় যদি ০.০০১ শতাংশ অবহেলাও থাকে, তাহলে তা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মোকাবিলা করতে হবে। শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট নিট পরীক্ষায় অনিয়ম সংক্রান্ত অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিচারপতিরা পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় অখণ্ডতা বজায় রাখা এবং সব প্রার্থীর সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করা নিশ্চিত করার ওপরে জোর দিয়েছেন।

এদিন বিচারপতি বিক্রম নাথ ও এসভি ভাট্টির অবকাশকালীন বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হয়। বিচারপতি ভাট্টি বলেন, পরীক্ষায় জালিয়াতি করে যে পরীক্ষার্থী ডাক্তার হয়, সে সমাজের জন্য বেশি বিপজ্জনক।

প্রসঙ্গত চার জুন নিট প্রবেশিকা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এই পরীক্ষার মাধ্যমে সারা দেশে সরকারি বা বেসরকারি মেডিক্যাল, ডেন্টাল কিংবা আয়ুশ কোর্সে ভর্তি হওয়া যায়। এবারের পরীক্ষায় ৭২০-র মধ্যে ৭২০ পেয়েছেন ৬৭ জন। তাঁদের মধ্যে আবার সাতজন একই পরীক্ষা কেন্দ্রের। পরীক্ষায় ৭১৮ কিংবা ৭১৯ও পেয়েছেন অনেকে। যে কারণে পরীক্ষার কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরীক্ষার ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক রাজ্যের হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল হয়। উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত পয়লা জুন প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করে পরীক্ষার পুর্নমূল্যায়নের আহ্বান জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়ে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য