রেশন দুর্নীতির সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে বললেন ঋতুপর্ণা
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
” আমাকে কোনও মামলায় তলব করা হয়নি।” ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে এ কথাই বললেন টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এ দিন সকাল থেকেই ইডি অফিসের বাইরে তৎপরতা ছিল। টলিউডের অন্যতম নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আজ কি আসবেন? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। সাড়ে বারোটা নাগাদ অভিনেত্রী সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে পৌঁছান।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরে ইডি অফিস থেকে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে বেরোতে দেখা যায়। পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় অভিনেত্রী ইডি অফিসে ছিলেন। কী কথা হল? কেন তাঁকে ডাকা হয়েছিল? সে বিষয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসে।
অভিনেত্রীকে দেখে একাধিক প্রশ্ন করতে থাকেন সাংবাদিকরা। প্রশ্নবাণ যেন তার দিকে ধেয়ে আসে। কিছুটা মেজাজ হারিয়ে অভিনেত্রী দিয়ে পিছনের দিকে চলে যান। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। কিছু কাগজ ইডি অফিসাররা চেয়েছিলেন। সেইসব ডকুমেন্ট আধিকারিকদের কাছে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কোনও কিছু নয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানালেন অভিনেত্রী। রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছিল। তবে এই বিষয়ে মানতে চাননি অভিনেত্রী। ঋতুপর্ণা বলেন, “আমাকে কোনও মামলায় তলব করা হয়নি।” তদন্তের স্বার্থে ইডি আধিকারিকরা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কাছে কিছু ডকুমেন্ট চেয়েছিলেন। সেইসব কাগজপত্র জমা করতে বলা হয়েছিল। সেজন্যই তিনি এসেছিলেন ইডি অফিসে৷
ঋতুপর্ণা বলেন, ” আমি কথা মতো কিছু কাগজপত্র জমা করে দিয়েছি৷ ইডি আধিকারিকরা সহযোগিতা করেছেন। আমিও সহযোগিতা করেছি। এই দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও কানেকশন নেই। একটা ডকুমেন্ট চেয়েছিল। আমি দিয়ে দিয়েছি৷ আমার একাউন্টেন্টও দিয়ে দিয়েছেন। আমার সহযোগিতায় ওঁরা খুশি।” রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম জড়িয়ে ছিল।
তিনি এক বছর ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী থেকে কি কোনও টাকা গিয়েছিল? রেশন দুর্নীতির টাকায় কি কোনও সিনেমা হয়েছে? সেই সব প্রশ্ন সামনে আসে৷ আর কোনও বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ঋতুপর্ণা। ” এর থেকে বেশি কিছু আর বলতে পারব না। এরপর যখন কিছু হবে, আমি বলব।” পরিষ্কার জানান অভিনেত্রী। তাহলে কি আবার ঋতুপর্ণাকে সিজিও কমপ্লেক্সে আগামী দিনে আসতে হবে? সেই প্রশ্ন উসকে যাচ্ছে।