হকারদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নিউ মার্কেট! বসানো হল পুলিশ পিকেট
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
হকারদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ধর্মতলায় নিউ মার্কেট চত্বর। ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে রাখা হয় এনএন ব্যানার্জি রোড। যার জেরে তীব্র যানজট হয় কলকাতার একাংশে। অন্যদিকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা নিউ মার্কেট থানা ঘেরাও হকারদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ছুটে এসেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। একেবারে ‘রেফারি’র ভূমিকায় পরিস্থিতি সামাল দেন আধিকারিকরা। আজ শনিবার সকালে একটি গাড়ি পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে।
রেহান খান নামের এক হকার নেতার বিরুদ্ধে গাড়ি চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নিউ মার্কেট থানার ওসির নির্দেশে এই কাজ করেছেন বলে অভিযুক্ত হকার দাবি করেছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে ধর্মতলার ব্যবসায়ীরা তীব্র প্রতিবাদ জানান। সেই সময় ব্যবসায়ীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগের তির ওই হকারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা ব্যবসায়ীরাও ময়দানে নেমে একেবারে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যা নিয়ে একেবারে হুলস্থুল বেঁধে যায়। দুপক্ষ ধীরে ধীরে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। একেবারে মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে হকার এবং ব্যবসায়ীরা।
ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলা চত্বরে প্রথমে ব্যবসায়ীরা অবরোধ করে। অবরোধ হয় এসএন ব্যানার্জি রোডেও। যার জেরে কলকাতার একাংশে তীব্র যানজট তৈরি হয়। ধর্মতলার একাংশ পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়। যদিও পুলিশের উদ্যোগে এই মুহূর্তে অবরোধ উঠে গিয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি।
অন্যদিকে হকারদের তরফেও একেবারে তৃণমূলের পতাকা হাতে চলে বিক্ষোভ। নিউ মার্কেট থানার সামনে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। অভিযুক্ত হকারদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে হকারদের পাল্টা দাবি, তাঁরাও আতঙ্কে ব্যবসা করতে পারছেন না। এই অবস্থায় যদিও বিশাল পুলিশ বাহিনীকে ময়দানে নামানো হয়েছে। এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই ঠাণ্ডা। ব্যবসায়ী এবং হকারদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে। শুধু তাই নয়, ঘটনার তদন্ত হবে বলেও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে হকাররাও যাতে দোকান খোলেন সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফে।