পুজোর আগেই গণপরিবহণে ধাক্কা এসেছিল। কলকাতা ও শহরতলিতে কমতে চলেছে বাস। ১৫ বছরের গেরোয় বসে যেতে চলেছে ২৫০০ বাস। শহরে প্রায় ৪ হাজার বেসরকারি বাস চলে। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশে আরও ২৫০০ বাস বসে গেলে গণপরিবহনে বাড়বে সমস্যা। নতুন বাস রাস্তায় নামাতে প্রস্তুত নয় বাস মালিকরা। কোভিডের কারণে দু’বছর রাস্তায় নামেনি সব বাস। এক্ষেত্রে বাস মালিকেরা চাইছেন সরকার ব্যবস্থা নিক।
মহানগরে গণপরিবহণে বড় ধাক্কা। উৎসবের মরশুমেই শহর কলকাতা ও হাওড়ায় প্রায় সাড়ে সাত’শ বাস বসে গিয়েছে। যেভাবে প্রতিদিন বাস বসে যাচ্ছে তাতে সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই হাজারের কাছাকাছি। যা আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে বসে যাবে। যার ফলে বসতে চলেছে প্রায় দু’হাজারের বেশি বেসরকারি বাস।
২০০৯ সালে পরিবেশ দূষণ সংক্রান্ত এক মামলায় হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল ১৫ বছরের বেশি কোনও বাস কলকাতায় চলবে না। ধাপে ধাপে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রায় ২৫০০ বাস কলকাতার রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যাবে। ফলে শহরের একাধিক রুটে বাস চলাচল সমস্যার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে চলাচল করে একাধিক রুট কার্যত ধুঁকতে শুরু করেছে। বেসরকারি বাস মালিকদের বক্তব্য, তাঁদের হাতে নতুন বাস নামানোর অর্থ নেই। কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, ১৫ বছরের বয়ঃসীমা পেরিয়ে গেলে আর কোনও বাস কলকাতা শহর বা কেএমডিএ এলাকায় চালানো যাবে না।
আদালতের রায়ে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ১৫ বছর বয়ঃসীমা পার হওয়া বাসগুলি বন্ধ করে দিতে হবে। পরিবহণ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, বর্তমানে কলকাতায় প্রতি দিন চার থেকে পাঁচ হাজার বেসরকারি বাস চলে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ কার্যকর হলে আর মাস ছয়েক পরে এই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন বেসরকারি বাস মালিকরা।