ঝাড়গ্রাম

বনমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসী খুদে ছাত্রছাত্রীরা প্রথমবার চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখল

স্বপ্নীল মজুমদার

বনমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসী খুদে ছাত্রছাত্রীরা প্রথমবার চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখল - West Bengal News 24

কথা রাখলেন মন্ত্রী। বুধবার সরকারি প্রাথমিক স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা প্রথমবার স্বচক্ষে দেখল চিতাবাঘ, ভালুক, নেকড়ে সহ নানা বন্যপ্রাণি, হরেক রকম পাখি ও সরীসৃপ। বন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার উদ্যোগে প্রথমবার চিড়িয়াখানা দেখার সুযোগ পেল খুদে পড়ুয়ারা, যাঁদের বেশিরভাগই আদিবাসী ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ভুক্ত।

গত ২৯ মার্চ ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর-১ চক্রের প্রত্যন্ত এলাকায় রাধামোহনপুর আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী বিরবাহা। পড়ুয়াদের চিড়িয়খানা ঘুরিয়ে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মন্ত্রী। বুধবার মন্ত্রীর উদ্যোগে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বাসে চাপিয়ে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে (ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানা) নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়।

বনমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসী খুদে ছাত্রছাত্রীরা প্রথমবার চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখল - West Bengal News 24

এদিন প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৫ জন পড়ুয়াদের সঙ্গে এসেছিলেন প্রধান শিক্ষক দেবাশিস পাল, সহ-শিক্ষক রঞ্জন পাল ও পার্শ্বশিক্ষক সমীর নায়েক। পড়ুয়াদের জন্য মন্ত্রীর উদ্যোগে টিফিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখে খুদে পড়ুয়ারা।

সহ-শিক্ষক রঞ্জন পালের ফোনে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে গঙ্গামণি মুর্মু, দুলালি হাঁসদা, অঞ্জলি মুর্মু, সাগুন কিস্কু, বুড়ান মুর্মুর মতো খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বিরবাহা সাঁওতালি ভাষায় পড়ুয়াদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানতে চান। পড়ুয়ারা মন্ত্রীকে জানায়, এই প্রথম তারা চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখল। তাদের খুব ভাল লেগেছে। প্রধান শিক্ষক দেবাশিস পাল বলেন, ‘‘মন্ত্রী ম্যাডামই পড়ুয়াদের চিড়িয়াখানা দর্শনের সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মন্ত্রী ম্যাডামকে বিদ্যালয়ের তরফ থেকে অনেক ধন্যবাদ।’’

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য