চিন্ময় প্রভুর জামিন স্থগিত, সুপ্রিম কোর্টে আপিলের প্রস্তুতি আইনজীবীদের
ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪
আশঙ্কা বাস্তবে রূপ নিল। যদিও চিন্ময় প্রভু জামিন পেয়েছিলেন, তবে বাংলাদেশের সন্ন্যাসীটির মুক্তির ক্ষেত্রে জটিলতা ছিলই। তিন ঘণ্টার মধ্যেই তার জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হল, ফলে আপাতত বন্দি অবস্থাতেই থাকতে হচ্ছে হিন্দু সনাতন সম্মিলিত জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে।
বুধবার দুপুরে ঢাকা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ চিন্ময় প্রভুর জামিন মঞ্জুর করে। এর পরপরই সরকার পক্ষ স্থগিতাদেশের জন্য আবেদন জানায় অন্য বেঞ্চে, যা মঞ্জুর হয়ে যায়। এর ফলে জামিন স্থগিত হয়ে যায় এবং রবিবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।
হাই কোর্ট বেঞ্চের বিচারপতি মহম্মদ আতোয়ার রহমান এবং বিচারপতি মহম্মদ আলি রেজা তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। আদালত এ বিষয়ে রুলও জারি করেছিল। এরপর সরকারপক্ষের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হেলাল আমিন জামিন স্থগিতের আবেদন করেন এবং এটি মঞ্জুর হয়ে যায়।
আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য চিন্ময় প্রভুর পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও আবদুল জব্বার ভুঁইঞা।
চিন্ময় প্রভুর আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’কে জানিয়েছেন, “যে অর্ডার দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ, সরকারপক্ষ তাতে স্থগিতাদেশ চেয়েছে। সরকারি আইনজীবী আবেদন জানিয়েছিলেন। তাই স্থগিতাদেশ হয়েছে। রবিবার পরবর্তী শুনানি। এই আশঙ্কা ছিল আমাদের। সরকারপক্ষ তাঁকে জেল থেকে বেরতে দিতে চায় না। তবে আমরা এরপর সুপ্রিম কোর্টে যাব। তার আগে পর্যন্ত চিন্ময় প্রভুকে জেলেই থাকতে হবে।”
২০২৪ সালের নভেম্বরে পতাকা অবমাননার অভিযোগে চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয় এবং তাঁকে চট্টগ্রামের কারাগারে বন্দি করা হয়। একাধিকবার চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছিল। এমনকি শুনানির আগে তাঁর আইনজীবীদের উপর হামলাও হয়েছিল। পরে ঢাকা হাই কোর্টেও জামিন খারিজ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুরা অভিযোগ করেন যে, হিন্দু সন্ন্যাসী হওয়ার কারণেই ইউনুস সরকারের কোপে পড়েছেন চিন্ময় প্রভু, আর সেই কারণে জামিন নিয়ে এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।