ভোরবেলা অনাথ আশ্রম যেন রূপ নিল হাতির মুক্তাঞ্চলে। দরজা ভেঙে, দেওয়াল ধসিয়ে, স্টোররুমে ঢুকে দেদার খাওয়াদাওয়া চলল হাতির। লুটপাট চালাল তিন পূর্ণবয়স্ক হাতি ও দুই শাবক।
আতঙ্কে জড়সড় আশ্রমের ৫৭ জন শিশু-কিশোর আবাসিক।ঝাড়গ্রাম শহর থেকে ১০ কিমি দূরে গড় শালবনি এলাকায় সরকারি অনাথ আশ্রমটি পরিচালিত হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে। আশ্রমে ছয় থেকে আঠারো বছর বয়সি শিশু- কিশোর থাকে।
এদিন ভোরে পাঁচটি হাতির দল আশ্রম চত্বরে ঢুকে পড়ে। তারা স্টোররুম থেকে তিন বস্তা মুড়ি, আলু, অন্য খাদ্যসামগ্রী টেনে খেয়ে নেয়। সবজি বাগান ও রান্নাঘর তছনছ করে দেয়। অফিস ঘরের গ্রিল খুলে, ডাইনিং হলের গেট বাঁকিয়ে দেয়। আশ্রমের হাউস ফাদার দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাতিরা এবার যা করল, আগে কখনও করেনি। আমরা আতঙ্কে বাচ্চাদের ঘরবন্দি করেছিলাম।”
বনদফতরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। হাতির তাণ্ডবের ঘণ্টাখানেক পর তারা ফিরে যায় জঙ্গলে, কিন্তু বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন দুপুর দেড়টা নাগাদ। হোম কর্তৃপক্ষের দাবি—আবারও হাতি ফিরে আসতে পারে। আশ্রমে নেই কোনও নিরাপত্তারক্ষী। দ্রুত পাহারার ব্যবস্থা না হলে, আরও বড় বিপদের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না হাউস ফাদার। বনদফতরের কোনও আধিকারিক এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।