ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে সদ্যোজাতের মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে উত্তাল পরিস্থিতি
স্বপ্নীল মজুমদার

অভিযোগ – সময়মতো সিজার না হওয়ায় প্রাণ গেল সদ্যোজাতের। শুক্রবার ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা। জামবনি ব্লকের গিধনির বাসিন্দা নীলাঞ্জনা সেতুয়াকে ভর্তি করা হয়েছিল ভোরে। প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করলেও পরিজনের দাবি, নার্সরা গুরুত্ব দেননি, বরং দুর্ব্যবহার করেন। সিজার করার অনুরোধেও ছিল উপেক্ষা।
দুপুরে জানানো হয়, মা ও সন্তান সুস্থ। পরে লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয় প্রসূতিকে। চিকিৎসকেরা জানান, সিজার হতে পারে। পরিবার রাজি থাকলেও বিকেলে জানানো হয়—শিশুটি আর নেই।
এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিজনেরা। অভিযোগ জানান হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ও ঝাড়গ্রাম থানায়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শনিবার তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ও হাসপাতালের সুপার অনুরূপ পাখিরা জানান, “আমরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছি। যদি কারও গাফিলতি প্রমাণিত হয়, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আর পাঁচটা ঘটনার মতো এটাও তদন্তে থেমে যাবে কি না, তা সময় বলবে। তবে একটা প্রশ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠছে—নিয়ম মেনে ডেলিভারির আগেই যদি মৃত্যু আসে, তবে ব্যবস্থার দায় নেবে কে?