রাজ্য

সরকারি তত্ত্বাবধানে তৈরি হবে নতুন বাজার, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক অনুদান – খিদিরপুর অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউজ ২৪

সরকারি তত্ত্বাবধানে তৈরি হবে নতুন বাজার, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক অনুদান – খিদিরপুর অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর - West Bengal News 24

খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। সোমবার বিধানসভা থেকে সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি ঘোষণা করেন যে, “নতুন করে বাজার তৈরি করে দেবে সরকার। কোনও খরচ দিতে হবে না ব্যবসায়ীদের। কর্পোরেশন যে মার্কেটটি তৈরি করবে সেটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হবে। থাকবে যথোপযুক্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।

যতক্ষণ না নতুন মার্কেট তৈরি হবে ততদিন ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ী জায়গার বন্দোবস্ত করা হবে। পুরো দোকান পুড়ে গেলে ১ লক্ষ টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ হাজার টাকা দেবে রাজ্য। কার কার দোকান জ্বলে গিয়েছে, কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই অনুযায়ী একটি রিপোর্টও তৈরি করা হবে।”

তিনি আরও নির্দেশ দেন, আপাতত পুরো এলাকা ব্যারিকেড করে ঘিরে ফেলার ব্যবস্থা নিতে হবে।

রবিবার রাত প্রায় ১টা নাগাদ আগুন লাগে খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে। বাজারের একাংশে তেল ও মাখনের গুদাম থাকায় আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন একের পর এক দোকান ও গুদামে গ্রাস ফেলে। খবর দেওয়া হলেও, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ‘তাতেও টনক নড়েনি দমকলের।’ আরও অভিযোগ, ‘ওয়াটগঞ্জ থানায় ফোন করেও কেউ রিসিভ করেনি।’ পরে ব্যবসায়ীরা ১০০ নম্বরে ফোন করলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। তাঁদের দাবি, ‘দমকলের কাছে প্রয়োজনীয় জল মজুত ছিল না।’ গঙ্গা থেকে জল এনে বহু সময় পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু হয়। সোমবার সকালেও কিছু জায়গায় আগুনের আঁচ টের পাওয়া যায়।

প্রাচীন এই মার্কেটের মধ্যে ফল, মশলা সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বহু পণ্যের দোকান ছিল। ভয়ানক আগুনে প্রায় ১৩০০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, ‘দমকল যদি সময়মতো কাজ শুরু করত, তাহলে এত ক্ষয়ক্ষতি হত না।’

সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকলের ভূমিকা নিয়ে ওঠা প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দমকল কাজে নামে।’ তাঁর ব্যাখ্যা, অরফ্যানগঞ্জ মার্কেট ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুনের মূল উৎসে পৌঁছাতে সমস্যা হয়। এখনও পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা না গেলেও, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য