পেশা বদলাচ্ছেন মিয়া খলিফা
মিয়া খলিফা, এক নামেই তাকে চেনেন বিশ্বের বহু মানুষ। তার জন্ম লেবাননের এক খ্রিস্টান পরিবারে। ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এমন একটি পেশা বেছে নিয়েছিলেন তিনি। হয়ে উঠেছিলেন পর্নো তারকা। এক সময় তিনিই ছিলেন একটি পর্নো বিষয়ক ওয়েবসাইটের শীর্ষ তারকা।
যদিও তিনি পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে, তবু এখনও তাঁকে পর্নস্টার হিসেবেই চেনেন সকলে। আর তিনি অনেক টাকা রোজগার করেন এমনটাই ধারনা সবার। এবার ভুল ভাঙালেন তিনি নিজেই।
সম্প্রতি ট্যুইটারে নিজের রোজগারের কথা উল্লেখ করেছেন মিয়া খলিফা। তিনি জানিয়ছেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে মোটেই মোটা টাকা কামাননি তিনি।
ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘অনেকেই ভাবে যে আমি পর্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে কয়েক মিলিয়ন রোজগার করি। এটা সম্পূর্ণ ভুল।’ তিনি জানিয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রি থেকে ১২০০০ ডলার কামিয়েছেন তিনি। তারপর আর এক পয়সাও পাননি। এমনকি পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর সাধারণ কাজ খুঁজতেও তাঁকে যে হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে, সেকথাও জানিয়েছেন তিনি।
১২০০০ ডলার ভারতীয় মুদ্রায় হয় ৮ লক্ষ ৫৫ হাজার। দু’বছরে যদি তিনি এই টাকা পেয়ে থাকেন, তাহলে তা সত্যিই কম।
ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরও জানান যে তাঁকে কখনই ওই ইন্ডাস্ট্রিতে লক্ষাধিক টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি, তিনি পাবেন বলে আশাও করেন না। তিনি শুধুই নিজের ও এই ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে মানুষের ভুল ধারনা ভাঙাতে সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন বলে জানালেন মিয়া।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে খুব কম সময়ই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু তাঁর কাজ এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে পাঁচ বছর বাদেও র্যাংকিংয়ে থাকেন তিনি। তাই লোকে ভাবে আজও তিনি কাজ করছেন।
একসময় একটি পর্ন ছবির ক্লিপিংয়ে হিজাব পরে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যা নিয়ে হুমকির মুখে পড়তে হয় মিয়া খলিফাকে। এমনকি তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলও হ্যাক করে নিয়েছিল আইএস জঙ্গিরা।
উল্লেখ্য, মিয়া খলিফা যেসব পর্নো ছবিতে অভিনয় করেছেন তাতে তাকে দেখা যায় হিজাব পরিহিত অবস্থায়। এই হিজাবকে সারা বিশ্বের মুসলিম নারীরা তাদের সম্মান হিসেবে দেখে থাকেন। আর সেই পোশাক পরা অবস্থায় পর্নো ছবিতে অভিনয় করেন মিয়া খলিফা।
এ কারণেই মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তিনি ২০১৫ সালে ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছিলেন, হিজাব পরে পর্নো ছবিতে অভিনয় করা নিয়ে যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তাতে তিনি বিস্মিত। আসলে তিনি স্যাটায়ার করার জন্য ওই পোশাক পরে অভিনয় করেছেন।
তিনি তখন আরও বলেছিলেন, হলিউডে অনেক ছবি আছে, যেসব ছবিতে আরো খারাপ খারাপ দৃশ্য দেখানো হয়। মুসলিমদের অবমাননা করা হয়।