স্বাস্থ্য

পালংশাকের পুষ্টিগুণ

পালংশাকের পুষ্টিগুণ

কার্টুন চরিত্র পপাই স্পিনাচ খেয়ে শক্তি বাড়ায়। এই স্পিনাচ অর্থাৎ পালংশাক মানবদেহের জন্য বেশ উপকারী।

পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পালংশাকের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানানো হল।

দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে:
পালংশাক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা চোখের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এতে থাকা লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন রেটিনার ক্ষদ্র অংশে জমা হয়ে সূর্যের কারণে হওয়া ক্ষতি প্রতিরোধ করার পাশাপাশি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
পালংশাকে ভিটামিন ও খনিজ থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ই থাকে যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং রক্ত কোষকে সুস্থ রেখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

ব্রণ দূর করে:
ব্রণ সমস্যা দূর করা যায় পালংশাক দিয়ে। খাবার তালিকায় পালং রাখার পাশাপাশি তা মুখের মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করলেও ত্বকের এই ধরনের সমস্যা দূর হয়। এর প্রদাহরোধী উপাদান ত্বক পরিষ্কার করতে খুব ভালো কাজ করে।

হাড় শক্ত করতে:
পালংয়ে থাকা ভিটামিন ‘কে’ হাড়ে ক্যালসিয়াম বজায় রেখে স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। হাড়ের সুস্থতা রক্ষা করে এবং ক্ষয় রোধ করতে পালংশাক সহায়তা করে।

হজমে সহায়তা:
এর আঁশ-জাতীয় অংশ অন্ত্রের ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং হজমে সহায়তা করে পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এর আঁশ জলের সঙ্গে মিশে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান শরীরের শোষিত হয় এবং বাকিটা সহজেই শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণ:
এই শাকে চর্বি ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকায় ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন ও খনিজ থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং বিপাক বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম এবং প্রোটিন, আঁশ বেশি যা ওজন কমাতে কার্যকর।

সুস্থ চুল:
চুল পড়ার অন্যতম কারণ হল লৌহের স্বল্পতা। পালংশাককে খনিজের শক্তির উৎস বলা যায়। এতে আছে ভিটামিন এ এবং ফলেট যা চুলের ফলিকল মসৃণ করতে এবং তেল নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। আরও আছে ভিটামিন সি যা চুলে আনে উজ্জ্বলভাব আর চুল রাখে সুস্থ।

আরও পড়ুন ::

Back to top button