রক্তদানে জীবন দান, ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের প্রচারে মিলছে সাফল্য
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলার সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলির ভাঁড়ার শূন্য। এই সঙ্কট কাটাতে এগিয়ে এল ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম।
করোনা সতর্কতায় লকডাউনের ফলে প্রায় মাস খানেক রক্তদান কর্মসূচি বন্ধ ছিল। জরুরি প্রয়োজনে দাতাদের ডেকে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেই সংখ্যাটা খুবই কম। এর ফলে সঙ্কট কিছুতেই কাটছিল না। এমন পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম-এর পক্ষ থেকে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এবং শহরের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা-কর্মসূচি শুরু হয়। রক্তদান, জীবনদান ওই প্রচারকে হাতিয়ার করে আসরে নামেন সংগঠনের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকেরা। তাতে কাজও হয়। উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই রক্তদান করতে এগিয়ে আসেন। রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার ওড়িশা সীমান্ত লাগোয়া নয়াগ্রাম ব্লকের পাতিনা অঞ্চলে সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
স্থানীয় পাতিনা নবজাগরণ সঙ্ঘের সহযোগিতায় ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সদস্যরা এদিন গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের রক্তদানের প্রয়োজনীতার কথা বোঝান। ফোরামের সম্পাদক চন্দন সৎপথী বলেন, ‘‘মানুষকে আমরা বোঝাতে পেরেছি রক্তদানের গুরুত্ব। অনেকেই এখন স্বেচ্ছায় রক্তদানে আগ্রহী হচ্ছেন। পাতিনা নবজাগরণ সঙ্ঘের সদস্য সঞ্জয় নায়ক, উত্তম নায়ক, দীপনারায়ণ বেরা, গৌরনারায়ণ বেরা, বিষ্ণুপদ নায়ক, শান্তিময় রাজ, শান্তনু সুঁইয়ের মতো উৎসাহী যুবকেরা এদিন ফোরামের হয়ে এলাকায় প্রচারে নামেন। তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং নয়াগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পাতিনার একটি স্কুল ভবনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে ৩০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।
ফোরামের সম্পাদক চন্দন সৎপথী বলেন, ‘‘রক্ত সংগ্রহের লড়াইটা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামের ‘সেভা’ সংস্থারক উদ্যোগে রক্তদাতাদের ঝাড়গ্রাম জেলা ব্লাড ব্যাঙ্কে নিয়ে এসে রক্তদানের ব্যবস্থা করা হয়। এখন লাগাতার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সচেতনতা প্রচার করে সর্বসাধরণকে রক্তদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে।