মেয়েকে দেখতে এসে মৃত্যু হল বাবার, গিধনীতে চাঞ্চল্য
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: সদ্যোজাত মেয়েকে দেখতে এসে মৃত্যু হল হল বাবার। রবিবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের গিধনী অঞ্চলের ঘটনা। এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মাহালী (৩১)। তিনি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বড়শোল থানার লাদনবনি গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় তিনি ছিলেন দিনমজুর। বিশ্বজিতের শ্বশুরবাড়ি গিধনীতে। কয়েক মাস আগে বিশ্বজিতের স্ত্রী গৌরীর একটি কন্যাসন্তান হয়। ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে শিশুটির প্রসব হয়। শিশুটির নাম দেওয়া হয় শম্পা। শিশুটিকে নিয়ে গৌরী স্বামীর কাছে লাদনবনি গ্রামে চলে যান।
শিশুটির টিকাকরণের জন্য লকডাউনের আগে বাপের বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন গৌরী। তারপরে লকডাউনে আর শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে পারেননি তিনি। গিধনীতে বাপের বাড়িতেই ছিলেন। এদিকে দীর্ঘদিন মেয়েকে দেখতে না পেয়ে অস্থির হয়ে পড়েন বিশ্বজিৎ। রবিবার তিনি হেঁটে লাদনবনি থেকে কিছুটা চলে আসেন। তাঁর শ্যালক চন্দ্র মাহালি জামাইবাবুকে বাইকে আনতে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সীমান্তে যান।
রবিবার রাতে শ্যালকের সঙ্গে গিধনীতে পৌঁছন বিশ্বজিৎ। রাতে শ্বশুরবাড়িতে মাংস-ভাত খেয়ে ঘুমোতে যান বিশ্বজিৎ। এরপরেই রাত একটা নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ঘুমের মধ্যে গোঙাতে থাকেন। এরপরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। প্রতিবেশী এক গ্রামীণ চিকিৎসক বিশ্বজিৎকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। সোমবার পুলিশের উদ্যোগে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকদের অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে।