রাজ্য

‘কারা দাঙ্গা ছড়াচ্ছে’ তাই জেলায় জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর

'কারা দাঙ্গা ছড়াচ্ছে' তাই জেলায় জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগ মুখ্যমন্ত্রীর

 

ওয়েবডেস্ক : প্রতি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্নে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রমজান চলছে। আর তার মধ্যেই কিছু লোক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টায় রয়েছে।

কিছু রাজনৈতিক দল দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যায়। ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনা দিয়ে দাঙ্গা কারা বাধাচ্ছে তা জানতে আমি সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলেছি।”

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধু অভিযুক্তদের চিহ্নিত করাই নয়, তাদের শাস্তির ব্যবস্থাও করবেন ওই আধিকারিক। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেখানে তিনি রাজ্যে শান্তি ভেঙে যারা দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে কোন রং না দেখে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনকে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। রবিবার সন্ধেবেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল হয় ভদ্রেশ্বর থানার তেলিনিপাড়ায়। তিনদিন ধরে সেই সংঘর্ষ চলছে।

বুধবারও দফায় দফায় চলছে বোমাবাজি, গুলি। অব্যাহত ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশাল পুলিশ বাহিনী-কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে চন্দননগর কমিশনারেটের তরফে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অশান্তির ছবি-ভিডিও উসকানির কাজ করছে বলে হুগলির ১১টি থানা এলাকায় ইন্টারনেট ও কেবল পরিষেবা বন্ধ করেছে প্রশাসন।

তাও অশান্তি থামছে না। এদিন তেলিনিপাড়ার সংঘর্ষে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতৃত্ব। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিং-রা চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।

লকেটের বক্তব্য, “একটা সম্প্রদায়ের লোকজন ঘরে থাকবে না, কোয়ারেন্টাইনে যাবে না। তারা টেস্ট করবে না। চারিদিকে শুধু করোনা ছড়িয়ে যাবে। পুলিশকে কিছু বললেই সেই রাগটা এসে পড়ছে হিন্দুদের উপরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন এই একটা সম্প্রদায়কে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন। ওঁদের জন্য ছাড়ের বন্দোবস্ত করে রেখেছে সরকার ও তার পুলিশ।

সুত্র: DNA বাংলা

আরও পড়ুন ::

Back to top button