ঝাড়গ্রাম

চন্দন, উজ্জ্বলের মতো ১২২ জন করোনা-যোদ্ধাকে সম্মান

চন্দন, উজ্জ্বলের মতো ১২২ জন করোনা-যোদ্ধাকে সম্মান - West Bengal News 24

স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: লকডাউনে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বীকৃতি পেলেন চন্দন সৎপথী, উজ্জ্বল পাত্রের মত ১২২ জন বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন। করোনা মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্য সোমবার সিধু-কানু হলে তাঁদের সম্মান জানালো ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ। লকডাউনে রক্তের সঙ্কট মেটাতে গ্রামগঞ্জে ঘুরে মানুষকে সচেতন করেছিলেন চন্দন সৎপথী। এখনও সেই কাজ করছেন তিনি। একের পর এক রক্তদান শিবির করানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের কর্মী চন্দন। তিনি ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সম্পাদকও। লকডাউনে জেলা হাসপাতালে রক্তের তীব্র অকাল দেখা দেয়। কিন্তু করোনার ভয়ে রক্তদান শিবির গুলি বাতিল করে দেন উদ্যোক্তারা। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে শহর ও গ্রামীণ এলাকার মানুষজনকে সচেতন করতে শুরু করেন চন্দন। এর ফলে একের পর এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা সম্ভব হয়। গ্রামীণ মহিলারাও ভয় ভেঙে রক্তদানে এগিয়ে আসেন। এখানেই থেমে থাকেননি চন্দন। বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে নিজেদের উদ্যোগে গরিব মানুষজনের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন।

চন্দন, উজ্জ্বলের মতো ১২২ জন করোনা-যোদ্ধাকে সম্মান - West Bengal News 24

চন্দনের মতোই ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা তরুণ স্কুলশিক্ষক উজ্জ্বল পাত্রও লকডাউন পর্বে নিরলস ভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। উজ্জ্বলের রাজনৈতিক পরিচয় হল তিনি ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূলের সম্পাদক। পেশায় তিনি মানিকপাড়া চক্রের রাজবাসা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিচার-ইনচার্জ। অভাবী মানুষের কাছে নিজের উদ্যোগে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন উজ্জ্বল। লকডাউনের সময় অসুস্থ বৃদ্ধের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। নিজের খরচে ওষুধ কিনে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁরই পরিকল্পনায় দরিদ্র মানুষজনের জন্য যুব তৃণমূলের উদ্যোগে বিনামূল্যের সব্জি বাজার চালু হয় শহরে। সাংগঠনিক কর্মসূচি হলেও সব্জি কেনার জন্য প্রথম কয়েকদিনের খরচ জুগিয়েছেন উজ্জ্বল নিজে। আমফান ঝড়ের সময়ে বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়শিবিরে নিয়ে যাওয়ার জন্যও তিনি বিশেষ ভাবে উদ্যোগ নেন।

চন্দন ও উজ্জ্বলের পাশাপাশি, জেলার বিভিন্ন এলাকার আশা কর্মী, নার্স, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, স্বসহায়ক দলের সমস্যা, ভিলেজ রিসোর্স পার্সন (ভিএলপি), সিভিক ভলান্টিয়ার, সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকারের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজনকে সম্মান জানানো হয়। করোনা নিয়ে সচেতনতা মূলক গান লেখার জন্য গীতিকার অমিয় মাহাতো, করোনা সচেতনার গান গাওয়ার জন্য নয়াগ্রামের প্রীতি দাসকেও সম্মান জানানো হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, জেলাশাসক আয়েষা রানী, জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর, জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্ত, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শুভ্রা মাহাতো, বন-ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামনি মুর্মু, জেলা পরিষদের মেন্টর সোমনাথ মহাপাত্র প্রমুখ।

চন্দন, উজ্জ্বলের মতো ১২২ জন করোনা-যোদ্ধাকে সম্মান - West Bengal News 24

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য