ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে গর্ভস্থ শিশু সহ যুবতীর মৃত্যু, চিকিৎসায় চরম গাফিলতির অভিযোগ
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: গর্ভস্থ শিশু সহ এক যুবতীর মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার উত্তেজনা ছড়াল ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালের সিসিইউ-এর সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃতার বাড়ির লোকজন।
ঝাড়গ্রাম থানার আইসি পলাশ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। মৃত বছর তেইশের দীপা মণ্ডলের স্বামী মিঠুন মণ্ডল পরে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গড়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। দীপার শ্বশুর বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার আঁধারিয়া গ্রামে। তাঁর স্বামী মিঠুন মেডিসিন কর্মী। বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ প্রসব বেদনা ওঠায় দীপাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখেননি বলে অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন মিঠুন। দীপার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুরে দীপার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে যে স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডিউটিতে ছিলেন তিনি দীপাকে দেখেননি। সময়মত সিজার করা হলে দীপা ও তাঁর গর্ভস্থ শিশুকে বাঁচানো সম্ভব ছিল বলে মনে করছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কিছু আধিকারিক। কিন্তু কেন সেটা হল না তা জানতে বিভাগীয় তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার পরে দীপার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।