রাজ্য

সারা রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন, সিদ্ধান্ত নবান্নের !

সারা রাজ্যের কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন, সিদ্ধান্ত নবান্নের !

 

ওয়েবডেস্ক :: অবশেষে ফের লকডাউনের পথে গেল রাজ্য সরকার। আগামী ৯ জুলাই, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে সারা রাজ্যের সব কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সংক্রমণ রুখতে চূড়ান্ত কড়া লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

তবে কনটেনমেন্ট জোন ঠিক করবে রাজ্য নিজেই। সেই এলাকায় থাকবে পুলিশি টহলদারী। বন্ধ থাকবে সব স্কুল-কলেজ-দোকান-অফিস-কারখানা। বন্ধ থাকবে সব বাজার। তবে কনটেনমেন্ট জোনের সংজ্ঞাও বদলে দেওয়া হচ্ছে। কনটেনমেন্ট জোন, বাফার জোন ও পাশের গ্রিন জোন মিলিয়েই হচ্ছে এই

নতুন কনটেন্টমেন জোন। ফলে মনে করা হচ্ছে, এবার কার্যত অর্ধেক রাজ্যই চলে গেল লকডাউনের আওতায়। উ্ল্লেখ্য, আনলক পর্বের শুরু থেকেই করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে রাজ্যজুড়ে।

সেই কারণেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ফের কড়া লকডাউন জারির এই সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য প্রশাসন। মঙ্গলবারই উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতার তরফে নবান্নের কাছে আবেদন করা হয়েছিল ফের কড়া লকডাউন জারি করার জন্য। সেই আবেদনেই ছাড়পত্র দিল রাজ্য সরকার।

ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে লকডাউন সম্পর্কিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে প্রত্যেক জেলাশাসকের দফতরে। যেখানে বলা হয়েছে, কোন কোন বিষয়গুলি লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে।

আরও পড়ুন : চিনা অ্যাপের পাল্টা দিল বাংলা, ক্যামস্ক্যানারের বিকল্প ‘সেলফ স্ক্যান’ চালু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের !

সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, বন্ধ থাকবে বাজার, তবে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান যেমন মুদি, সবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফল, ওষুধ- এগুলির ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়। সেক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্তই খোলা থাকবে এই দোকানগুলি।

পাশাপাশি, হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে চা-সহ রাস্তার ধারের সমস্তরকম খাবারের দোকান। পাশাপাশি, বন্ধ রাখতে হবে সবরকম চা-এর দোকান। বন্ধ থাকবে সবরকম অফিস-কলকারখানা।

বন্ধ থাকবে সমস্তরকম ব্যবসায়ীক লেনদেন, কাজকর্ম। এছাড়াও সবরকম পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ করতে হবে। অর্থাত্‍ বাস, অটো, টোটো, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব, রিক্সা কিছুই চলবে না এই জায়গায়।

এদিন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশিকা জারি করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে পরিধি বাড়ছে কনটেনমেন্ট জোনের। আগে কনটেনমেন্ট জোন বলতে আক্রান্তের বাড়ি ও তার আশেপাশের সামান্য এলাকা যুক্ত ছিল। কিন্তু এখন কনটেন্টমেন্ট জোনের সংজ্ঞা বদলে এলাকা

আরও পড়ুন : কীভাবে ব্যবহার করা উচিত ক’ন্ডোম, শেখালেন অভিনেত্রী

বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বর্তমানের কনটেনমেন্ট জোন, বাফার জোন, এমনকি গ্রিন জোনকে নিয়ে নতুন কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বলাই যায় রাজ্যের প্রায় অর্ধেকই চলে আসবে লকডাউনের আওতায়।

তবে কলকাতা পুরসভা এদিন প্রায় ৩০ টি নতুন কনটেনমেন্ট জোনের কথা ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও হাওড়া জেলার সিংহভাগ এলাকাই এই লকডাউনের আওতায় চলে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা সরকারি ওয়েবসাইটে দেওয়া হচ্ছে। সেই অনুযায়ীই এবার কড়া লক়ডাউন করা হবে এই এলাকাগুলি।

 

 

সুত্র: এই মুহূর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button