রাজ্য

রাজ্যের এই জেলায় আঙুরের বাণিজ্যিক চাষ শুরু, টানা আট বছরের গবেষণায় সাফল্য !

রাজ্যের এই জেলায় আঙুরের বাণিজ্যিক চাষ শুরু, টানা আট বছরের গবেষণায় সাফল্য ! - West Bengal News 24

ওয়েবডেস্ক : টানা আট বছর চেষ্টার পরে অবশেষে মিলল সাফল্য। বাঁকুড়ার তালডাংরায় বাণিজ্যিক ভাবে উত্‍পাদন শুরু হচ্ছে আঙুরের। আগেই এই জেলায় অন্যান্য অর্থকরী ফলের চাষে সাফল্য এসেছে। তবে বীজবিহীন আঙুরের চাষে এখনও সাফল্য আসেনি। লালমাটির জেলা হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়ার মাটি রুক্ষ।

জেলায় শিল্প নেই। বাধ্য হয়েই নির্ভর করতে হয় চাষেয়র উপরে। কৃষি নির্ভর এই জেলায় কোনও বছর বন্যা হয় তো কোনও বছর খরা। ফলে এই জেলার আঞ্চলিক অর্থনীতি তার মাটির মতোই রুক্ষ। এই অবস্থায় আশার আলো দেখাচ্ছে রাজ্যের কৃষি ও উদ্যান পালন দফতর।

আম, পেয়ারা ও মুসম্বি-সহ নানান মরসুমি ফল চাষে জেলায় ব্যাপক সাফল্য এসেছে। আট বছর ধরে চেষ্টার পরে এখন তালডাংরা উদ্যান পালন উন্নয়ন ও গবেষণা খামারে ব্যাপক হারে উত্‍পাদিত হচ্ছে আঙুরও।

গত আট বছর আগে যা পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়েছিল এখন তা বাণিজ্যিক ভাবে সম্পূর্ণ সফল বলেই দাবি গবেষকদের। তালডাংরা উদ্যান পালন উন্নয়ন ও গবেষণা খামার সূত্রে খবর, গত আট বছর আগে বীজযুক্ত ও বীজ-বিহীন মিলিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে ৩৭টি প্রজাতির আঙুরের চাষ শুরু হয়।

[ আরও পড়ুন : ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য বাসন্তীতে ]

বর্তমানে আরকা নীলামণি, আরকাবতী, আরকা কাঞ্চন, ঊষা উর্বষী-সহ পাঁচটি প্রজাতির আঙুর চাষ সম্পূর্ণ ভাবে সফল হয়েছে। এগুলির প্রত্যেকটিই অবশ্য বীজযুক্ত আঙুরের প্রজাতি। এখনও পর্যন্ত বিজবিহীন প্রজাতির আঙুর চাষে এখানে সে ভাবে সাফল্য আসেনি। তবে গবেষণা চলছে।

তালডাংরা উদ্যান পালন উন্নয়ন ও গবেষণা খামারের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রাজীব দাস বলেন, ‘এখানকার এক একটি গাছে এই মুহূর্তে পাঁচ থেকে ছ’কেজি করে ফলন মিলছে। এখানে বীজ যুক্ত আঙুর চাষে সফলতা এসেছে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ও পুনের জাতীয় আঙুর গবেষণা কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে গত এক বছর আগে বীজ বিহীন আঙুর চাষের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’

এ ক্ষেত্রেও সাফল্য লাভের পাশাপাশি রাজ্যে আঙুর উত্‍পাদনে বাঁকুড়া বিশেষ জায়গা করে নেবে বলে তিনি আশাবাদী। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি ও বিশিষ্ট কৃষি বিশেষজ্ঞ শুভাশিস বটব্যাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাঁকুড়ার মাটি ও জলবায়ু যে আঙুর চাষের উপযোগী সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

[ আরও পড়ুন : মুখে মাস্ক কই? পথে নেমে প্রশ্ন পুর-প্রশাসকের ]

চারা তৈরি করে তা চাষিদের দিয়ে আঙুর চাষের ক্ষেত্র বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’ তার আগে আঙুর চাষে আগ্রহী চাষিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি জানান।

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য