রাজনীতি

‘তৃণমূলের সামান্য কর্মী ছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়েই কার্যকর্তা হয়েছেন’ অর্জুন সিং

‘তৃণমূলের সামান্য কর্মী ছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়েই কার্যকর্তা হয়েছেন’ অর্জুন সিং

দলে ‘কাজের লোকদের’ নিষ্ক্রিয় করে ‘কাছের লোকেদের’ বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং।

যদিও স্বজনপোষণের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেইসঙ্গে বেশ জোরালো বার্তাও দিলেন তিনি। দিলীপ ঘোষের বলেছেন, ”কে বলেছেন যে যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না? যদি কেউ একথা বলে থাকেন, তাহলে বলতে হয় যে তৃণমূলের সামান্য কর্মী ছিলেন, বিজেপিতে যোগ দিয়েই কার্যকর্তা হয়েছেন। ভবিষ্যতেও যাঁরা বিজেপিতে যোগ দেবেন, তাঁরাও সম্মান পাবেন।”

এরপরই তিনি তথ্য দেন যে অর্জুন সিংকে উত্তর কলকাতার পর্যবেক্ষক এবং রাজ্যের সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, দিল্লিতে অর্জুন সিংয়ের নালিশের পরই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি অবশ্য এই খবর অস্বীকার করেছেন।

[ আরও পড়ুন : তৃণমূলের রদবদল নিয়ে আক্রমণ বিরোধীদের ]

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দিল্লিতে কলকাতা, দমদম ও বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা আসনগুলো নিয়ে বৈঠক ছিল। জানা গিয়েছে, সেখানে দলের রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অর্জুন সিং। পশ্চিমবঙ্গে দল পরিচালনায় নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে দিলীপ ঘোষ নিজের ঘনিষ্ঠদেরই শুধুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে নাম না করে দিলীপ গোষ্ঠীর তুমুল সমালোচনা করেন তিনি। অর্জুন বলেন, এভাবে সংগঠন পরিচালনা করলে ২০২১-এ পশ্চিমবঙ্গ দখল যে সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, এর পরই ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত, মুকুল রায়ের হাত ধরেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছেন অর্জুন সিং। বিজেপির একাংশের দাবি, দলের অনেক নেতাই বহুদিন ধরে দিলীপ ঘোষ ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের উপর ক্ষুব্ধ। কিন্তু এতদিন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সেটা কেউ সাহস করে বলেননি।

[ আরও পড়ুন : তিন মাসের মধ্যে সারদা রোজভ্যালি মামলার নিষ্পত্তি করব: দিলীপ ঘোষ ]

সোমবার দিল্লির বৈঠকে সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশই ঘটিয়ে ফেলেছেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। দলের ওই অংশ মনে করছে, স্বাভাবিকভাবেই অর্জুনের মতো দলের নবীন সদস্যের এই ‘স্পর্ধা’ মানতে পারছেন না দলের রাজ্য সভাপতি। তাই ঠারেঠোরে বার্তা দিচ্ছেন তিনি।

সুত্র : কলকাতা ২৪x৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button