ঝাড়গ্রামে আবাস যোজনায় কারচুপির অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও
ওয়েবডেস্ক: বাংলা আবাস যোজনায় বেছে বেছে বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন পঞ্চায়েতের লোকজন। এমনই অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা। ঘোরাও-বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। বুধবার এমন ঘটনা ঘটল ঝাড়গ্রাম জেলার নেদাবহড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি।
আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। কিন্তু নেদাবহড়া পঞ্চায়েত অফিসের নোটিস বোর্ডে সেই তালিকা টাঙানো হয়নি। এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ নেদাবহড়া অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি লালমোহন মুর্মুর নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মী ও গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
[ আরও পড়ুন : প্রশ্নের মুখে রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন ]
তাঁরা অভিযোগ করেন, বেছে বেছে বিজেপি-র লোকজনকে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য তালিকা ধরে কেবল বিজেপি সমর্থক উপভোক্তাদের বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিক্ষোভের ফলে পঞ্চায়েত অফিসে আটকে পড়েন তিন পঞ্চায়েত কর্মী। পরে আসেন প্রধান মণিদীপা মাহাতো।
তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূলের লোকজন। আসে পুলিশও। শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েতের নোটিস বোর্ডে তালিকা টাঙানোর পরে বিকেল তিনটেয় ঘেরাও-বিক্ষোভ ওঠে। মণিদীপা অবশ্য বলেন, ‘‘পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তালিকা ধরে সব উপভোক্তাদের বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। আধার কার্ডের তথ্য নেওয়া হচ্ছে।’’
বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত মাহাতো বলেন, ‘‘এদিন তৃণমূলের লোকজন পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে চেয়ার উল্টে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে প্রধান পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।’’ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি লালমোহন মুর্মু বলেন, ‘‘কারচুপি ধরা পড়ে যাওয়ায় এখন মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি।’’
[ আরও পড়ুন : ভারত কবে আসতে চলেছে রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিন! জানেন কী? ]