জাতীয়

পিএম কেয়ার্সের টাকা নিয়ে প্রশ্ন চিদম্বরমের

পিএম কেয়ার্সের টাকা নিয়ে প্রশ্ন চিদম্বরমের

পিএম কেয়ার্স ফান্ডের অডিট রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনা শুরু করেছে কংগ্রেস। আনন্দ বাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

৫ দিনে কি করে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে ৩,০৭৬ কোটি টাকা জমা পড়লো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। তিনি ডোনারদের নাম জানানোর দাবিও জানিয়েছেন।

বুধবার টুইটারে চিদম্বরম লেখেন, ‘পিএম কেয়ার্স ফান্ডের হিসেবে দেখা গিয়েছে, ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত, পাঁচ দিনে ৩ হাজার ৭৬ কোটি টাকা জমা পড়েছে। কিন্তু যে দয়ালু মানুষ জন অনুদান দিয়েছেন, তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না কেন? অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বা ট্রাস্টে যদি কেউ নির্ধারিত সীমার বেশি টাকা অনুদান দেন, সে ক্ষেত্রে অনুদানকারীদের নাম প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। শুধুমাত্র পিএম কেয়ার্স ফান্ডকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কেন?

চিদম্বরম আরও লেখেন, ‘যিনি দান গ্রহণ করেছেন, তাকে সবাই চেনেন। ট্রাস্টিদেরও চেনেন সকলে। তাহলে অনুদানকারীদের নাম প্রকাশে ভয় কিসের?’

২৭ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে এই বিপুল পরিমান টাকা জমা পড়েছে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে। তবে যাত্রা শুরু হয়েছিলো মাত্র দু’লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে। কিন্তু দেশ-বিদেশ থেকে মাত্র পাঁচ দিনেই তাতে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি জমা পড়ে।

আরও পড়ুন : জেটলির উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

এর আগে তথ্য দিতে অস্বীকার করলেও, করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গঠিত ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিল নিয়ে এ বার এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।

করোনা সঙ্কট সামাল দিতে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ‘পিএম কেয়ার্স’ তহবিলটি গঠন করা হয়। তার পর ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাতে কত টাকা জমা পড়ে, ‘পিএম কেয়ার্স’ ওয়েবসাইটে সম্প্রতি তার হিসাব প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।

তাতে দেখা গিয়েছে দু’লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে তহবিলটি খোলা হয়। পাঁচ দিনের মধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে ৩ হাজার ৭৫ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৫ টাকা জমা পড়ে। এর মধ্যে বিদেশি অনুদান মাত্র ৩৯ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৪৮ টাকা। বাকি পুরোটাই দেশের মানুষের অনুদান।

ওই টাকার উপর ৩৫ লক্ষ ৩২ হাজার ৭২৮ টাকা সুদও জমা হয়। বিদেশি অনুদানের উপর আরও ৫২৫ টাকার সুদ মেলে। তাতেই পাঁচ দিনে ওই টাকার অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৭৬ কোটি ৬২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৬ টাকা। ওই টাকা থেকে কর বাবদ ২ হাজার ৪৯ টাকা কাটা হয়। তাতে মোট অর্থের পরিমাণ হয় ৩ হাজার ৭৬ কোটি ৬২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৭ টাকা।

তবে ওই পাঁচ দিনে জমা পড়া মোট টাকার হিসাব দেখানো হলেও, দেশ-বিদেশ থেকে যারা ওই তহবিলে টাকা জমা দিয়েছেন, তাদের নাম ও পরিচয় খোলসা করেনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম।

আরও পড়ুন ::

Back to top button