জাতীয়

গুজরাত দাঙ্গায় ক্ষতিপূরণের মামলা থেকে রেহাই পেলেন প্রধানমন্ত্রী

গুজরাত দাঙ্গায় ক্ষতিপূরণের মামলা থেকে রেহাই পেলেন প্রধানমন্ত্রী

২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মামলা হয় মোদীর বিরুদ্ধে। ১৮ বছর বাদে অবশেষে সেই তালিকা থেকে বাদ গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম। শনিবার আদালতে মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রমাণ ছাড়াই ওই মামলা হয় বলে দাবি আদালতের।

এক ব্রিটিশ পরিবার ২৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন। তাঁদের পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয় গুজরাত দাঙ্গায়। ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয় তার ভিত্তিতেই। সেইসময় গুজরাতে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মোদী। তাই এই মামলায় তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়।

এদিন আদালতের সিভিল জাজ এসকে গাধভী বলেন, মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে গেলে তার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ দরকার যথেষ্ট প্রমাণ। মোদীর নাম সরিয়ে দেওয়ার জন্য ওই মামলাকারীদের দাবিতে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

কোনও ভিত্তি ছাড়াই এই মামলায় মোদীর নাম ছিল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ব্রিটিশ নাগরিক ইমরান ও শিরিন দাউদ ২০০৪ সালে একটি স্যুট ফাইল করেন। সেখানে মোদী সহ ১৩ জনের নাম ছিল। এর আগে গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গায় মোদীকে ক্লিনচিট দেয় নানাবতী কমিশন।

আরও পড়ুন : লাদাখে ৩টি নতুন রানওয়ে তৈরি করছে চীন!

গোধরা কাণ্ডের প্রায় ১৭ বছর পর ২০১৯-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দাঙ্গার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নয় বলে ক্লিনচিটে উল্লেখ করে বিচারপতি জি.টি নানাবতী এবং অক্ষয় মেহতার কমিশন।

এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেনের হাতে গোধরা কাণ্ডের চূড়ান্ত রিপোর্ট তুলে দেয় নানাবতী কমিশন। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এই রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন।

ওই বছর নির্ধারিত সময়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন বিচারপতি জি টি নানাবতী। পুরো রিপোর্ট তৈরি করতে মোট ২৪ বার সময়সীমা বাড়িয়েছিল কমিশন। রাজ্য সরকার রিপোর্টের চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিল ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর। কিন্তু সেই সময়ও পেরিয়ে যায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট মামলার তদন্তকারী সংস্থা এবং আদালতকে এই মামলার রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়। অবশেষে এ দিন সেই রিপোর্ট জমা দেয় কমিশন।

২০০৮-এ এই কাণ্ডের আংশিক রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কমিশন। সেই রিপোর্টে সবরমতী এক্সপ্রেসের এস-৬ কামরা পোড়ানোর পিছনে ষড়যন্ত্রের কথা বলা হয়েছিল।

২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে যে হিংসা ছড়িয়েছিল, সেই ঘটনার তদন্তে ওই বছরের ৩ মার্চ দুই সদস্যের একটি কমিশন গঠন করে গুজরাত সরকার। কমিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জি টি নানাবতী এবং কে জি শাহকে।

কিন্তু ২০০৮-এ বিচারপতি শাহের মৃত্যুর পর বিচারপতি নানাবতীর সঙ্গে কমিশনের দায়িত্ব সামলান গুজরাত হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অক্ষয় মেহতা।

সুত্র: কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button