রাজ্যে ২ লক্ষ ছাড়াল আক্রান্তের সংখ্যা
বাংলায় ২ লক্ষ ছাড়াল আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে ৩ হাজারের বেশি সংক্রমণ। তবে সুস্থতার হার ৮৬ শতাংশের বেশি। একদিনের হিসেবে কমল মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ টেস্ট ৪৭ হাজারের বেশি। রবিবারের রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলায় একদিনে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার এই সংখ্যাটা ছিল ৫৯ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ৩ হাজার ৯৪৫ জন। যে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে কলকাতার ১২ জন। উত্তর ২৪ পরগনার ১৩ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩ জন। হাওড়া ৭ জন। হুগলি ৪ জন। পশ্চিম বর্ধমান ১ জন। পূর্ব বর্ধমান ২ জন। পূর্ব মেদিনীপুর ৩ জন।
পশ্চিম মেদিনীপুর ২ জন। বাঁকুড়া ৩ জন। পুরুলিয়া ১ জন। বীরভূম ১ জন। নদিয়া ১ জন। মালদা ২ জন। জলপাইগুড়ি ১ জন। দার্জিলিং ১ জন। আলিপুরদুয়ার ১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত ৩,২১৫ জন। শনিবার ছিল ৩,১৬১ জন। এর ফলে রাজ্যে এই পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যাটা ২ লক্ষ ছাড়াল।
তথ্য অনুযায়ী, ২ লক্ষ ২ হাজার ৭০৮ জন। এদিনও নতুন আক্রান্তের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে কম মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩,০৫৪ জন।
শনিবার ছিল ৩,০৪২ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৩৯ জন। তার ফলে রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬.৪০ শতাংশ। শনিবার ছিল ৮৬.২৬ শতাংশ। শুক্রবার ছিল ৮৬.১০ শতাংশ।
আরও পড়ুন : ধর্ষণের রেট বেঁধে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী: বিজেপি সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল
বাংলায় প্রতিদিনই বাড়ছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার। রাজ্যে ফের বাড়ল অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাক্টিভ আক্রান্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৬২৪ জন। শনিবারের তুলনায় ১০৩ জন বেশি। বাংলায় একদিনে ৪৭ হাজার ৩১৮ টি টেস্ট হয়েছে। এটাই একদিনে রাজ্যে সর্বোচ্চ টেস্ট।
শনিবার ছিল ৪৭ হাজার ১৩১ টি টেস্ট হয়েছে। এই পর্যন্ত টেস্টের সংখ্যা ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৪ টি। প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় টেস্টের সংখ্যা বেড়ে হল ২৭,৪৪৫ জন। এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ৭৬টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে।
আরও ৬ টি ল্যাবরেটরি অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলায় ৯২ টি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ৩৭ টি হাসপাতাল ও ৫৫ টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে।
হাসপাতালগুলিতে মোট কোভিড বেড রয়েছে ১২,৬৭৫ টি। আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১,২৪৩টি, ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে ৭৯০টি। কিন্তু সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে ৫৮২টি।
সুত্র: কলকাতা24×7