তৃণমূলের ‘ছাতা’ ছত্রধরের সভায় ভিড় নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
স্বপ্নীল মজুমদার, ঝাড়গ্রাম: যেখানেই সভা করছেন সেখানেই উপচে পড়ছে ভিড়। এখন তিনি জনসাধারণের কমিটির নেতা নন। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতোর সভায় তাহলে এত জনসমাগম হচ্ছে কী করে? প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলে।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকের পদ পাওয়ার পরে জোর কদমে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছেন ছত্রধর। কিন্তু তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, তাঁকে দেখতে মানুষের ঢল নামছে। ঝাড়গ্রাম ও পাশের জেলা বাঁকুড়ায় কেন্দ্র সরকার বিরোধী একের পর এক কর্মসূচি করছেন ছত্রধর।
সেই সব রাজনৈতিক কর্মসূচির ভিড় দেখে অবাক হচ্ছেন গোয়েন্দারাও। এগারো বছর আগে ছত্রধরের নেতৃত্বে মিছিলে হাজার হাজার মানুষ হাঁটতেন। অনেকে বলেন, ওই সময় স্বতস্ফূর্ত ভাবে কেউই আসতেন না। কিন্তু এখন তো পরিস্থিতি পাল্টেছে। ভয়ের বাতাবরণ নেই।
আরও পড়ুুন: “একদিকে করোনা, তার উপর বিজেপির এই কৃষিবিল যেন ‘মরোনা’: মুখ্যমন্ত্রী
তাহলে কীভাবে এত লোক হচ্ছে? সবই কী স্বেচ্ছায় আসছেন। তৃণমূলের কেউ কেউ বলছেন, ২০০৯ সালে লালগড় আন্দোলনের দৌলতে ছত্রধর মাহাতো আন্তর্জাতিকস্তরে পরিচিত নাম। এলাকায় সবাই তাঁর নাম জানেন। এখন তিনি তৃণমূলের সম্পাদক। তাই তাঁকে দেখতে মানুষজন ভিড় করছেন।
তৃণমূলের কর্মীরা স্বীকার করছেন, ছত্রধরের সভায় লোকজনের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় সমস্যা হচ্ছে। তবে ছত্রধরের সভা ও মিছিলে লোকজনের ঢল দেখে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব স্বস্তিতে রয়েছেন।
ছত্রধরকে সামনে রেখে প্রচারের সুফল পাওয়ার আশা করছেন রাজ্য তৃণমূলের নেতারা। যদিও জেলা তৃণমূলের অন্দরে ছত্রধরকে নিয়ে নানা ধরনের টানাপোড়েন রয়েছে। এখন দেখার আসন্ন বিধানসভা ভোটে ছত্রধর সত্যিই জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ছাতা হয়ে উঠতে পারেন কিনা!