Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
রাজনীতিরাজ্য

কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ হারিয়ে মুকুলের প্রতি ক্ষুব্ধ রাহুল

কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ হারিয়ে মুকুলের প্রতি ক্ষুব্ধ রাহুল

ফের উসকে উঠল পুরনো লড়াই। তৃণমূল থেকে আগত মুকুল রায় (Mukul Roy) বনাম বিজেপির বহু পুরনো নেতা রাহুল সিনহার (Rahul Sinha) দ্বন্দ্ব এসে পড়ল প্রকাশ্যে। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক থেকে বাদ পড়ে কারও নাম না করে দলের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন রাহুল সিনহা। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, ”তৃণমূল নেতা আসছেন, তাই তাঁকে সরতে হল। এতদিন ধরে দল করার এই পুরস্কার!”

শনিবারই সর্বভারতী স্তরে সংগঠনে রদবদল এনে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি (BJP)। তাতে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে বসানো হয়েছে মুকুল রায়কে। আর বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা সর্বভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন।একই পদে এসেছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা। উত্তরবঙ্গের জমি ধরে রাখতেই বিজেপির এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, উত্তরবঙ্গে থেকে প্রথম কেউ সংগঠনের এত গুরুত্বপদে পদ পেলেন। এর আগে রাহুল সিনহা ছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সম্পাদক পদে।

আরও পড়ুন : অক্টোবরে খুলে যাচ্ছে রাজ্য়ের সিনেমা হলগুলি, বড় ঘোষণা মুখ্য়মন্ত্রীর

এবার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কোনও পদেই নেই রাহুলবাবু। তাঁর মতোই বাদ পড়েছেন দলের আরেক দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ নেতা রাম মাধব। নিজের পদ খুইয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, “চল্লিশ বছর ধরে বিজেপির একজন সৈনিক হিসাবে দলের সেবা করে এসেছি। জন্মলগ্ন থেকে বিজেপির সেবা করার পুরস্কার এটাই যে একজন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আসছেন, তাই আমায় সরতে হবে। এর চেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের কিছু হতে পারে না।” এই আক্ষেপ প্রকাশেই থেমে থাকেননি তিনি। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, ”এর বাইরে আর কিছু বলব না। যা বলার দশ-বারো দিনের মধ্যে বলব। আমার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করব।”

তাঁর বক্তব্যের এই সুর থেকে তৈরি হচ্ছে নানা জল্পনা। দলের উপর প্রবল ক্ষুব্ধ রাহুল সিনহার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক কী হতে চলেছে, তার আঁচ টের পাওয়ার চেষ্টায় রাজনৈতিক মহল। মুকুল-দিলীপের চোরা দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। সেই দ্বন্দ্বের কথা যতই প্রকাশ্যে উড়িয়ে দিন তাঁরা উভয়েই, মোটেই তা মেটার নয়। বঙ্গ রাজনীতির সামান্য খোঁজখবর রাখা মানুষজনই তা বুঝতে পারেন। এদিকে আবার দিলীপ ঘোষ-রাহুল সিনহার সম্পর্কে যথেষ্ট শৈত্য আছে। ফলে বঙ্গ বিজেপিতে মুকুল-দিলীপ-রাহুল, এই ত্রিকোণ দ্বন্দ্বে একুশের আগে সংগঠনের অবস্থা কতটা আশাপ্রদ হবে, তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছেই।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

আরও পড়ুন ::

Back to top button