Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
জাতীয়

শক্তি বাড়ছে বায়ুসেনার, ফ্রান্স থেকে আসছে আরও ১৬ টি রাফাল

শক্তি বাড়ছে বায়ুসেনার, ফ্রান্স থেকে আসছে আরও ১৬ টি রাফাল
ফাইল ছবি

প্রথম দফায় পাঁচটি রাফাল ফাইটার জেট চলে এসেছে ভারতে। হরিয়ানার আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটির ১৭ নম্বর ‘গোল্ডেন অ্যারো’ স্কোয়াড্রনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পাঁচ রাফালকে। এরপরে দফায় দফায় আরও ১৬টি ওমনিরোল রাফাল ফাইটার জেট আসতে চলেছে ভারতে।

এ বছর নভেম্বর থেকে আগামী বছর এপ্রিল পর্যন্ত আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটির গোল্ডেন অ্যারো স্কোয়াড্রনে মোট ২১টি রাফাল জেট অন্তর্ভুক্ত করা হবে যার মধ্যে তিনটি পাঠানো হবে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। ৩৬টি রাফাল ফাইটার জেটের জন্য ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরেই।

মে মাসেই প্রথম চারটি রাফাল ভারতের হাতে আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে এই সময় পিছিয়ে যায়। এর মধ্যেই জুন মাস থেকে পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়ে ভারতের। চিন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তাপের আবহেই গত ২৯ জুলাই ফ্রান্স থেকে সাত হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে পাঁচটি রাফাল ফাইটার জেট চলে আসে ভারতে।

পরে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই পাঁচ ফরাসি রাফালকে ভারতীয় বায়ুসেনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, আগামী ৫ নভেম্বর আরও তিনটি রাফাল ভারতে পাঠাবে ফরাসি সংস্থা দাসো। আগামী বছর জানুয়ারিতে আসবে আরও তিনটি রাফাল ফাইটার জেট। পরের দফায় মার্চ ও এপ্রিলে যথাক্রমে পাঁচটি ও সাতটি রাফাল জেট চলে আসবে হরিয়ানার আম্বালা এয়ারবেসে।

২১টি রাফালের অন্তর্ভুক্তির পরে তিনটিকে পাঠানো হবে আলিপুরদুয়ারের হাসিমারা এয়ারবেসে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্রান্সে এখন সাতটি ট্রেনার রাফাল জেটে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ভারতের পাইলটরা। মাঝা আকাশে যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরার প্রক্রিয়াও শেখানো হচ্ছে তাঁদের। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাফাল ফাইটার জেট ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হতে চলেছে।

আরও পড়ুন: বিতর্কের মুখে ফেসবুক থেকে ইস্তফা দিলেন আঁখি দাস

চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের আবহে রাফালের মতো মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট হাতে পাওয়া বিশেষ তাত্‍পর্যপূর্ণ। পাকিস্তানের এফ-১৬, জেএফ-২০ ফাইটার জেট ও চিনের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ এয়ারক্রাফ্ট চেংড়ু জে-২০-র মুখোমুখি মোকাবিলা করার মতো ক্ষমতা আছে রাফালের।

পরের দফায় ফ্রান্স থেকে যে ১৬টি রাফাল পাঠানো হবে ভারতে তার প্রতিটির থেকে মিকা ও মেটিওর এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ছোড়ার প্রযুক্তি রয়েছে। সেই সঙ্গেই রাফালের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপের ক্ষেপণাস্ত্র স্কাল্প। মেটিওর হল বিয়ন্ড ভিসুয়াল রেঞ্জ (বিভিআর) এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল। ওজন ১৯০ কিলোগ্রাম। প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও নিখুঁত টার্গেট করতে পারে। ‘স্কাল্প’ হল লো-অবজার্ভর ক্রুজ মিসাইল।

দৈর্ঘ্যে ৫.১ মিটার এবং ওজন প্রায় ১৩০০ কিলোগ্রাম। ৬০০ কিলোমিটার পাল্লা অবধি লক্ষ্যে টার্গেট করতে পারে এই মিসাইল। সূত্রের খবর, ফ্রান্সের বৃহত্তম জেট ইঞ্জিন নির্মাতা সংস্থা স্যাফরানের সঙ্গেও চুক্তি হচ্ছে ভারতের। দেশে বসেই রাফালের জন্য এম-৮৮ ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে স্যাফরান।

ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও জানিয়েছে, লাইট-কমব্যাট মার্ক-৩ ফাইটার জেট এবং ডবল-ইঞ্জিন অ্যাডভান্সড মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের জন্যও কাজে লাগবে এই এম-৮৮ ইঞ্জিন। পাশাপাশি ২৫০ কিলোগ্রাম ওয়ারহেডের হ্যামার মিসাইলও ভারতকে দিতে পারে স্যাফরান। রাফাল ফাইটার জেট থেকে ছোড়া নির্ভুল নিশানায় ভূমিতে নিক্ষেপ করা যায় এই মিসাইল।

 

 

সুত্র: THE WALL

আরও পড়ুন ::

Back to top button