জীবন যাত্রা

অফিসের বসকে বলবেন না যেসব কথা

অফিসের বসকে বলবেন না যেসব কথা - West Bengal News 24
প্রতিকি ছবি

চাকরিক্ষেত্রে বসের সঙ্গে কথা বলাটা একধরণের চ্যালেঞ্জই বটে। বসের সঙ্গে কথা বলার সময় পেশাগত ব্যাপারটি আপনার খেয়াল রাখা উচিত।তার মনে কষ্ট না দিয়ে কীভাবে আপনি আপনার মনের কথাটি তার বোধগম্য করে তুলবেন তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

যখনি আপনার বসের সাথে কথা বলেন, খেয়াল রাখবেন ন্যূনতম হলেও পেশাদারিত্ব বজায় থাকে যেন। মাঝে মাঝে মুখ ফসকে অপ্রীতিকর কোনও কথা বের হয়ে যেতে পারে। ভুল কিছু বলে ফেললে আপনার চাকরির যে কোনো প্রকার ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। রিডার্স ডাইজেস্ট অবলম্বনে জেনে নিন কোন কথাগুলো আপনার বসকে কখনোই বলা যাবে না।

নিজেকে বাঁচাতে অন্যের দোষ দেবেন না

অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেয়া খুবই বাজে অভ্যাস এবং এটা অনেকটা শিশুসুলভ আচরণ। আপনি যদি নির্দোষ হন তাহলে সেটা আপনার বসকে বুঝিয়ে বলুন। তার মানে এই নয় যে, আপনি অন্যদের বলির পাঠা বানাবেন; যদি সেখানে সত্যিই আপনি দোষী হয়ে থাকেন। আপনার বস যদি দেখেন যে আপনি প্রায়শই কারো না কারো দিকে আঙুল তোলেন, তাহলে আপনার বস আপনার প্রতিই অসন্তুষ্ট হবেন।

আরও পড়ুন: ধনী হওয়ার স্বপ্নে সর্বস্ব হারায় যেভাবে

কাজে অপারগতার কথা বলবেন না

আপনার বস আপনাকে কোনো কাজ করতে বললে আপনি যদি সত্যিই না জানেন তা কিভাবে করতে হয় তাহলে সেটা তার মুখের ওপর কখনো বলবেন না। আপনি আপনার বসকে শুরুটা কিভাবে করবেন সেটা জিজ্ঞেস করতে পারেন অথবা কোনো সহকর্মী বা ইন্টারনেট থেকে শিখে নিয়ে কাজ করতে পারেন। এর ফলে আপনার বস খুশি হবেন এবং মনে করবেন যে, আপনার মধ্যে একগুঁয়েমি কম এবং আপনি শিখতে আগ্রহী।

আপনার ব্যস্ততা প্রকাশ করবেন না

বস আপনাকে কিছু করতে বললে সেটাকে ‘না’ বলা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আপনি চরম ব্যস্ত থাকলে কোন কাজটা আগে করবেন সেটা আপনার বসের ওপর ছেড়ে দিন। তাতে করে আপনার বুদ্ধিমত্তার প্রকাশ পাবে এবং আপনার বস আপনার ওপর খুশি থাকবেন।

পুরাতন বসের সঙ্গে নতুন বসের তুলনা করবেন না

আপনাকে যদি আপনার অবস্থানের পুরাতন কারো সঙ্গে তুলনা করে কোনো কথা বলা হয় তাহলে আপনার নিশ্চয় খারাপ লাগবে। আপনার বসের ব্যাপারটাও ঠিক তেমনই। উপরন্তু আপনার বস মনে করবেন আপনি নমনীয় নন, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না এবং পরিবর্তন পছন্দ করেন না। তাছাড়া আপনি যে জমাটবাধা বুদ্ধির মানুষ এটা তার বুঝতে বাকি থাকবে না। এর ফলে নিত্যনতুন কাজ আপনার হাতছাড়া হয়ে যাবে কেননা আপনার বসের ধারণা আপনি হাওয়া পাল্টালে নিজে পাল্টাতে পারেন না।

আরও পড়ুন: ফ্যাশন নয় ক্ষতির কারণ হতে পারে টাইট জিন্স

নতুন চাকরি খোঁজার কথা বলবেন না

অফিসের সকল কর্মীই জানেন একটা সময় পরে তাদের কোনো সহকর্মী নতুন চাকরি খুঁজবে। কিন্তু এই ব্যাপারটা আপনার সহকর্মীদের এবং বসের জানার মধ্যে ঢের পার্থক্য আছে। আপনার বস যদি জানতে পারেন যে আপনি মনেপ্রাণে নতুন চাকরিতে যোগ দেয়ার চেষ্টা করছেন তাহলে এটা তার গালে থাপ্পড় মারার মতো হবে। নতুন চাকরি পাওয়ায় পর ২ সপ্তাহের নোটিশ দিয়ে তাকে অবগত করা এক্ষেত্রে উত্তম।

বেতন বাড়ানোর কথা বসকে বলবেন না

এমন নয় যে বসের সঙ্গে টাকাপয়সা নিয়ে আপনি কথাই বলবেন না। তবে বেতন নিয়ে দরাদরি এবং ব্যক্তিগত সমস্যা দেখিয়ে বেতন বাড়ানোর কথা বলবেন না। এতে আপনার বস কোনোরকম প্রভাবিত হবেন না। বেতন বাড়ানোর কথা বসকে বলতে গেলে অফিসে আপনার কাজ, আপনার অর্জনগুলো, আপনার কর্মদক্ষতা নিয়ে কথা বলুন।

বিষণ্ণতা বা ক্লান্তির কথা বলবেন না

বসের খুব কাছের মানুষ হয়ে গেছেন এবং তার সঙ্গে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও গড়ে উঠেছে আপনার। তার মানে এই নয় যে, কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আপনি তাকে মন খুলে বলে দেবেন। আপনার ব্যক্তিগত ক্লান্তির কোনো স্থান সেখানে নেই কেননা আপনি বেতনভুক্ত কর্মচারী। দিনশেষে আপনার মনে রাখা উচিত যে, আপনার বসই একমাত্র ব্যক্তি যার মাধ্যমে আপনি বেতন, পদোন্নতি এবং বোনাস পেয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন: ঝামেলার মধ্যেও আনন্দে থাকতে চাইলে এই কথাগুলি মাথায় রাখুন

কাজ নাই বলে বের হওয়ার কথা বলবেন না

সত্যিই যদি আপনার কোনো সমস্যা থেকে থাকে সেটা এক ব্যাপার। যেমন: ডাক্তার দেখানো। কিন্তু অফিসে কোনো কাজ নেই বলে বসকে কখনো চলে যাওয়ার কথা বলতে যাবেন না। যে সকল কর্মীরা নতুন নতুন কাজে উৎসাহী হয় তাদেরকে বস অনেক পছন্দ করেন। সুতরাং অফিসে কোনো কাজ না থাকলে নতুন নতুন কাজ সম্বন্ধে খোঁজ নিন।

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য