রাজ্য

‘গিনেস বুকে নাম উঠবে আপনার,’ : গৌতম দেব

'গিনেস বুকে নাম উঠবে আপনার,' : গৌতম দেব

গৌতম দেব শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘রাজ্যপাল সরাসরি গেরুয়া দলের ক্যাডারের ভূমিকায় নেমে পড়েছেন। যেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দিনের শেষে মানুষই সব মানুষ রাজ্যপালের এই ভূমিকা বিচার করবে। রাজ্যপালের যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তিনি দিল্লিতে নোট পাঠাতে পারেন, রিপোর্ট পাঠাতে পারেন। কিন্তু তিনি তা না-করে শিয়ালদহ থেকে রিলে রেসের মত ধারাবাহিক বক্তব্য দিতে দিতে আসছেন। রাজ্যপালের এই প্রেস মিটের জন্য গিনেস বুকে নাম উঠবে। কারণ ভারতের কোনও রাজ্যপাল এত অল্প সময়ে এতবার প্রেস মিট করেননি। এই রাজ্যপালের কাজ হল সকাল থেকে রাত্রি প্রেস মিট করা এবং সরকারকে কালিমালিপ্ত করা। রাজ্যপাল তার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে রাস্তায় নামুক। তাহলে তো কারও কিছু বলার থাকে না।’

তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ সফরে এসে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে বলেছেন আগুন নিয়ে খেলা করবেন না। এবং কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবেন না। আমরা অতি বিনয়ের সঙ্গে রাজ্যপালকে, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, অতীতে কোনও রাজ্যপালকে বাংলায় আমরা এভাবে দেখিনি। তিনি তথ্য বিনিময় করতেই পারেন। কিন্তু তার মানে এই নয় তিনি সকাল-বিকেল প্রেস মিট করবেন।

আরও পড়ুন : শিয়ালদা – হাওড়া থেকে কবে চলবে লোকাল ট্রেন?

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গৌতম দেব জানান, রাজ্যাপাল যে সরকারের সাংবিধানিক প্রধান, সেই সরকারকে কালিমালিপ্ত করাই তাঁর একমাত্র কাজ। বাংলার মানুষের অবস্থা, উন্নয়ন, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে সহায়তা করার মধ্যে তিনি নেই। তিনি রাজ্যপালের সাংবিধানিক গরিমা ক্ষুণ্ণ করছেন, নিচু করছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এটা একেবারেই চাই না আমরা দুঃখিত, মর্মাহত।

ধনখড় এদিন সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, কোভিডেই তা প্রমণিত।’ তাঁর মতে, কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত ছিল রাজ্যের। একইসঙ্গে পরিকল্পনা নিয়েও রাজ্যর কড়া সমালোচনা করেন রাজ্যপাল। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দেশের বাকি জায়গার কৃষকরা টাকা পেলেও, এরাজ্যের কৃষকরা পাননি। অন্যান্য সব জায়গায় কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা গিয়েছে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের দূরদর্শিতার অভাবে মানুষ ভুগছেন বলেই দাবি তাঁর।

আরও পড়ুন : এবার সক্রিয় ভাবে রাজনীতিতে পা রাখতে চলেছেন পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী

এর আগেও অনেক বার রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। তার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। দিন কয়েক আগে রাজ্যাপালকে কটাক্ষ করে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এমন প্রচার সর্বস্ব রাজ্যপাল আমি কখনও দেখিনি। বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন করার আগে উনি উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলার কথা নিয়ে দু-চার কথা বলুন। দিল্লিতে বসে বলছেন, বাংলার সম্পর্কে জানা দরকার।’

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ‘বাংলার রাজ্যপাল বিজেপির লাউডস্পিকার হিসেবে কাজ করছেন।’ তাঁর প্রশ্ন, দিল্লিতে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন, না বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন? এর আগে তিনি ৯৯ বার সেই কাজ করেছেন বলে মনে হয়। মনে হচ্ছে এটা তার ১০০তম বার। এর আগেও মিথ্যের ঝুড়ি নিয়ে তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন ::

Back to top button