স্বাস্থ্য

শীতের সময় নবজাতকের শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়

শীতের সময় নবজাতকের শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়

শীতের এ সময়ে যেসব নবজাতকের জন্ম হয় তাদের নিতে হয় বাড়তি যত্ন। এ সময়ে শিশুদের সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডা, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এসব কারণে নবজাতকের শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়।

শিশুর প্রথমে সর্দি-কাশির মতো সাধারণ উপসর্গ থাকে, যা পরে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। নিউমোনিয়া হলে শিশুর জীবন সংকটাপন্ন হয়ে উঠতে পারে।

সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যেই নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেশি থাকে। নিউমোনিয়া হলে শিশুর ফুসফুস মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হয় ও শ্বাস কষ্টের সমস্যা দেখা দেয়।

নবজাতকের শ্বাসকষ্ট

নবজাতকের শ্বাসকষ্ট নিম্নোক্ত তিন লক্ষণের যে কোনোটা এক বা একাধিক চিহ্ন নিয়ে প্রকাশ পায়। প্রতি মিনিটে শ্বাস এর হার ৬০ বা তার বেশি, বুকের নিচের অংশ গভীরভাবে দেবে যাওয়া ও গ্রান্টিং- শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্টকর শব্দ।

আরও পড়ুন : নারীর পিসিওডির সমস্যা দূর হবে যেভাবে

নবজাতকের ৫-১০ শতাংশ ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তার কারণাদি নবজাতকের বয়স, গর্ভকাল ও মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকির ওপর নির্ভরশীল থাকে।

প্রধান কারণ

১. আরডিএস, টিটিএন, গর্ভকালীন নিউমোনিয়া, মিকোনিয়াম এসপিরেশন সিনড্রোম, নিউমোনিয়া, এসপিরেশন নিউমোনিয়া, সার্জিক্যাল কারণ

২. হার্ট ফেলিওর

৩. ভূমিষ্ঠকালীন শ্বাসরোধ জটিলতা, মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে রক্তপাত

৪. মেটাবলিক, রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা নেমে গেলে, রক্তে অম্লতা

৫. অত্যধিক শীতলতা, রক্তে বেশি মাত্রার হিমোগ্লোবিন প্রভৃতি।

কী করবেন

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজনে রেডিয়েন্ট ওয়ার্মার ব্যবহার করুন। শিরায় স্যালাইন, যদি বুকের দুধ চুষে খেতে না পারে। অক্সিজেন ৮৮-৯৫ শতাংশে বজায় রাখা। প্রয়োজনে সিপেপ, মেকানিকেল ভেনটিলেশন।

আরও পড়ুন : শীতকালীন কাশি কমাতে যা খাবেন

এছাড়া সারফেকটেন্ট থেরাপি (উপসর্গ দেখা দেয়ার ২ ঘণ্টার মধ্যে)। আরডিএস প্রতিরোধে গর্ভবতী মাকে ২৪ ও ৩৪ সপ্তাহের মধ্যে স্টেরয়েড প্রদান।

সকল বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button