পশ্চিম মেদিনীপুররাজনীতি

মাতব্বরি করতে বিজেপিতে আসিনি, দল পতাকা লাগাতে দিলে তাও করতে রাজি: শুভেন্দু

মাতব্বরি করতে বিজেপিতে আসিনি, দল পতাকা লাগাতে দিলে তাও করতে রাজি: শুভেন্দু

সব পেয়েও আরও চাই । মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভেই ২১-এর কুরুক্ষেত্রের আগে দল ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী । তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের সুতো ছেঁড়া শুরু হতেই এভাবেই আক্রমণ করা হয় নন্দীগ্রামের নেতাকে ।

মেদিনীপুরের সভামঞ্চে সরকারিভাবে শাহের সামনে বরণের পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক শুভেন্দু । দিলেন মোক্ষম জবাব ।

তৃণমূলের অভিযোগ, আরও পাওয়ার লোভেই ২১-এর ভোট যুদ্ধের মাস পাঁচেক আগে দলবদল বাংলার অন্যতম দাপুটে নেতা শুভেন্দুর । সেই অভিযোগের জবাবে মেদিনীপুরের সভামঞ্চ হতে সদ্য বিজেপি শিবিরে অভিষিক্ত শুভেন্দু স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন কোনও পদের লোভে বিজেপিতে তিনি আসেননি ।

এমনকী দলে নতুন এসে বাকিদের উপর ছড়ি ঘোরানোরও কোনও উদ্দেশ্য তাঁর নেই । জেলাস্তরে নেতাদের নাম ধরে ধরে তাঁর আশ্বাস, ‘মাতব্বরি করতে বিজেপিতে আসিনি ।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা আমাকে বুথে বুথে, পাড়ায় পাড়ায় পাবেন । বিজেপিতে কর্মী হিসেবে কাজ করব । দল যা নির্দেশ দেবে, তাই করব । পতাকা লাগাতে বললে দেওয়াল লিখতে বললে তাও রাজি ।’

এখানেই শেষ নয়, পুরনো দলের জন্য শুভেন্দুর গলায় প্রতি কথায় ফুটে ওঠে উষ্মা । বলেন, ‘অমিত শাহ আমার বড় দাদা । অমিতজির সঙ্গে আমার বহুদিনের সম্পর্ক । কোভিডের সময় অমিত শাহ আমার খোঁজ নেন । অথচ আমার ২১ বছরের পুরনো দল, যাঁদের জন্য এত করেছি, বিয়ে পর্যন্ত করিনি, তাঁরা আমার খোঁজ পর্যন্ত নেননি ।’

আরও পড়ুন: যাদের জার্সি বদল কাজ তাঁরা পাল্টাবেন : অধীর

দলনেত্রীর সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল দলের উদ্দেশে প্রবল আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা শুভেন্দু । বলেন, ‘তৃণমূলে আত্মসম্মান নিয়ে কেউ থাকতে পারে না । আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছে । আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠে এসেছি । আমি যখন যেখানে থাকি নিষ্ঠার সঙ্গে থাকি । তৃণমূল এবার দ্বিতীয় হবে, প্রথম হবে বিজেপি ।’

২ ডিসেম্বর বৈঠকের পর সৌগত রায়কে পাঠানো শুভেন্দুর মেসেজেই স্পষ্ট ছিল, তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কছেদের শুরু । গেরুয়া পথেই হাঁটতে চলেছেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কাণ্ডারী । তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল তখনই ।তারপর যত সময় এগিয়েছে ততই বেড়েছে দূরত্ব ।

তৃণমূল বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতেই একে একে কুণাল ঘোষ, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় এক সুরে বলেন, উচ্চাশা, উচ্চ পদের লোভে বিজেপিতে গেলেন শুভেন্দু । তাঁর লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রী বা উপমুখ্যমন্ত্রী পদ ।

তৃণমূল সরকারে দশ বছর ক্ষমতা থেকে সুবিধে, মান সম্মান সব ভোগের পর আরও পাওয়ার লোভেই গেরুয়া শিবিরে যাচ্ছেন প্রাক্তন পরিবহণ, সেচ ও জলসম্পদ মন্ত্রী । সেই অভিযোগ ফুত্‍কারে উড়িয়ে সদ্য বিজেপি নেতার ভূমিকায় পুরনো দলের উদ্দেশেই শানালেন আক্রমণ ।

এবার মুখোমুখি লড়াই। এবার লড়াই রাজনীতির মঞ্চে। শুভেন্দু অধিকারী নিজের বক্তব্যে যা বলেছিলেন তাই করে দেখালেন ।শনিবার, মেদিনীপুরের সভা থেকে শুরু থেকেই তিনি আক্রমণাত্মক।

 

 

সুত্র: নিউজ ১৮ বাংলা

আরও পড়ুন ::

Back to top button