জওয়ানদের মনোবল বাড়াতে লাদাখে সেনাপ্রধান নারাভানে
বৈঠকের পর বৈঠক, আলোচনার পর আলোচনা অনেক হয়েছে। কিন্তু অবস্থা সঠিক জায়গায় ফেরা দূরের ব্যাপার, চিন নিয়ে দিনদিন মাথাব্যথা বেড়েই চলেছে। দীর্ঘ সাত মাস হল। পূর্ব লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে দুই দেশের সেনা এখনও একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।
অনেকে মনে করছে ভারতকে আর্থিকভাবে দুর্বল করে দেওয়ার জন্যই এই স্ট্র্যাটিজি নিয়েছে চিন। প্রায় পঞ্চাশ হাজার সেনা রাখার দৈনিক খরচা বহন করা ভারতের পক্ষে চাপের হয়ে পড়বে।
সে যাই হোক, ভারতীয় জওয়ানদের মনোবল বাড়াতে একদিনের জন্য লাদাখ সফর করলেন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। বিখ্যাত ‘ফায়ার এন্ড ফিউরি’ কর্পসের ফরওয়ার্ড বেস রেচিনলা ঘুরে দেখলেন সেনাপ্রধান।
যুদ্ধের প্রস্তুতির ব্যাপারে তাঁকে অবগত করেন জিওসি। স্থানীয় কমান্ডারদের থেকেও বাহিনীর সুবিধে, অসুবিধা নিয়ে জানতে চান সেনাপ্রধান। এই এলাকায় ইতিমধ্যেই শূন্যের অনেক নীচে নেমে গেছে তাপমাত্রা। আগামী দিনে আরও শীত পড়বে।
সেনাপ্রধান নিজের চোখে দেখে এলেন সেনাবাহিনীর শীতের জামাকাপড়, তাঁবু, থাকার ব্যবস্থা। কিছুটা দূরে অন্য ফরওয়ার্ড পোস্ট তারাতেও যান তিনি। প্রায় ঘন্টা দুয়েক আলোচনা করেন জওয়ানদের সঙ্গে।এইসব জায়গা থেকে চিনা সেনা এক কিলোমিটারের কম দূরত্বে দাঁড়িয়ে।
সেনাবাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে জানান তাঁরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছেন শত্রুর মোকাবিলা জন্য। কমান্ডিং অফিসাররা মানসিকভাবেও জওয়ানদের দারুন মনোবল দিচ্ছেন। অতীতে দেখা গেছে যুদ্ধচলাকালীন পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর রেশন ফুরিয়ে গেছে, অস্ত্রভান্ডারের টান পড়েছে।
আরও পড়ুন: স্বামীর পাওনা টাকা তুলতে বারবার ব্যর্থ হয়ে চিকিৎসক স্ত্রীর আত্মহত্যা
এই বিষয়গুলি এবার আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ভারত। পরিস্থিতি যতই জটিল হোক, সাপ্লাই লাইন ঠিক থাকবে।
জওয়ানদের মিষ্টি এবং বড়দিনের কেক খাইয়ে দেন সেনাপ্রধান। নিঃসন্দেহে সেনাবাহিনীর মনোবল এতে আরও বেড়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই ভারতের সঙ্গে সীমানায় নতুন জেনারেল ঝাং জুদংকে দায়িত্ব দিয়েছে চিন।
পি এল এর ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের প্রধান করা হয়েছে তাঁকে। তিব্বত সহ ভারতের সামনে দীর্ঘ সীমানা এখন থেকে এই জেনারেলের অধীনে। চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং নিজেই বেছে নিয়েছেন ঝাং -কে। অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং নির্দয় কমান্ডার হিসেবে পরিচয় রয়েছে তাঁর।
General MM Naravane #COAS interacted with the troops deployed in forward areas and exhorted all ranks to continue working with same zeal and enthusiasm. #COAS also distributed sweets and #cakes on the eve of #Christmas. #CelebratingFestivalsTogether#IndianArmy pic.twitter.com/Fq22qqIqn3
— ADG PI – INDIAN ARMY (@adgpi) December 23, 2020
ভারতীয় শিবির অবশ্য এর ফলে বিরাট পরিবর্তন হবে আশা করে না। ঠান্ডায় চিন হামলা করবে এমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সীমান্তের ওপারে ভারতের মত সমপরিমান বাহিনী রেখেছে চিন। সেনাপ্রধান জানান ভারতীয় বাহিনী চব্বিশ ঘন্টা প্রস্তুত রয়েছে।
চিন হামলা করবে কিনা সেটা তাঁদের ব্যাপার। করার পর কি জবাব দেওয়া হবে সেটা ভারতের হাতে। অর্থাত্ ভেঙে না বললেও তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন গালওয়ানে চিনকে যে শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল আগামী দিনে গায়ের জোর দেখালে তার চেয়েও বড় জবাব অপেক্ষা করে আছে।
সুত্র: নিউজ ১৮ বাংলা