ঝাড়গ্রাম: ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে শহিদ স্মরণের সভা হবে না। তবে মাল্যদান করে শহিদদের স্মরণ অনুষ্ঠান হবে। বুধবার নেতাই গ্রামের কমিউনিটি হলে শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির কর্মকর্তারা এক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
কমিটির সভাপতি দ্বারকানাথ পণ্ডা বলেন, “এবার কোনও সভা হবে না। কেবল মাল্যদান করে শহিদদের শ্রদ্ধা জানানো হবে।” এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তবে নেতাই গ্রাম সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার তৃণমূল ওই গ্রামে স্মরণসভা করতে চায়। অন্যদিকে, প্রতিবারের মতো শুভেন্দু অধিকারীও নেতাই গ্রামে যাবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ওই দিন আবার কুড়মি সমন্বয় মঞ্চ কুড়মি জনজাতিকে আদিবাসী তালিকাভুক্তি সহ বিভিন্ন দাবিতে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় বন্ ধের ডাক দিয়েছে। অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়াতে তাই শহিদ স্মৃতি রক্ষা কমিটি এবার স্মরণসভাটাই বাতিল করে দিয়েছে। প্রতিবার কমিটির উদ্যোগেই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন : কোনও জল্পনা নয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমতুল পদ পেলেন শুভেন্দু
কয়েকদিন আগে শুভেন্দু ঝাড়গ্রামে বিজেপির এক দলীয় কর্মসূচিতে এসে জানান তিনি ৭ জানুয়ারি এবারও নেতাই গ্রামে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সিপিএমের সশস্ত্র শিবির থেকে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলে ৯জন নেতাইবাসীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। পরের বছর থেকে শুভেন্দু প্রতিবার নিয়ম করে নেতাই দিবসে আসেন। নেতাইয়ের ঘটনাটি ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূলের তুরুপের তাস ছিল। তবে এখন শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় নেতাই গ্রামের চারিদিকে বিজেপির দলীয় পতাকা মাথা তুলেছে। কয়েকদিন আগে নেতাই গ্রামে বড় মিছিলও করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন : ভোটের কাজে প্রধানশিক্ষকদের অব্যহতির দাবি
ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, ‘‘দলের তরফে নেতাই দিবস পালন করা হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।” সূত্রের খবর, নেতাই দিবসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অথবা মদন মিত্র আসতে পারেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন রাজ্য সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। তবে শেষ পর্যন্ত কে আসবেন তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।