মিমকে ভোট দিলে বিজেপির হাত শক্ত করা হবে। বাংলার মুসলিম সমাজ এটা জানে। মিমকে ভোট দিলে বিহারের মতো অবস্থা হবে-সোমবার সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুরে একটি জনসভায় এমনই মন্তব্য করেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন ব্লকে ব্লকে জনসভার ডাক দিয়েছেন অনুব্রত। অন্যদিকে, সভার আগে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হন দুই সাংবাদিক।
জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা’র সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে কটাক্ষ করেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘আগে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ সহ যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে সেগুলিকে আগে সোনার রাজ্য তৈরি করো। তারপর সোনার বাংলা গড়বে। বাংলার মানুষ অত বোকা নন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের মুখে বিজেপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকার প্রলোভন দেখাবে। টাকা নিয়ে নেবেন। কারণ ওই টাকা ওদের বাবার টাকা নয়। চুরির টাকা। ভোটটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবেন। এই ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট। আর তাদের ঠেঙিয়ে পগারপাড় করে দেবেন।’ তবে কাদের ঠেঙিয়ে পগারপার করতে হবে, তা ভেঙে বলেননি তৃণমূলের জেলা সভাপতি। মিমকে তোপ দেগে অনুব্রত এদিন বলেন, ‘মিম বিজেপির বি টিম। পয়সা নিয়ে কাজ করে। বাংলার মুসলিমরা জানেন মিমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপির হাতকে শক্ত করা। বিহার দেখে মানুষের শিক্ষা হয়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন : ঘরে ঘরে পৌঁছতে হবে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা: অভিষেক
এদিকে, সোমবার পুরন্দরপুরের জনসভায় মিছিল করে মাঠে ঢুকছিলেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। এরকমই একটি মিছিলে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। সেই ছবি তুলতে যান একটি টিভি চ্যানেলের সিউড়ির সংবাদদাতা মৃণালজিৎ গোস্বামী এবং স্থানীয় একটি বৈদুতিন মাধ্যমের সাংবাদিক প্রীতিময় চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁদের উপর চড়াও হন। দু’জনের মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। যদিও পরে অনুব্রত মণ্ডলের হস্তক্ষেপে মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়।