এক বিটকয়েনের দাম ৩০ হাজার ডলার, পৌঁছাতে পারে লাখ ডলারে
আকাশ ছোঁয়া দামে বিক্রি হচ্ছে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা ‘বিটকয়েন’। ডলারের বিপরীতে প্রতিনিয়তই হু হু করে বাড়ছে বিটকয়েনের দাম। বছরের শুরুতে সেই দাম আকাশ ছুঁয়েছে। এক বিটকয়েনের দাম পৌঁছেছে ৩০ হাজারের ডলারের বেশি। গত শনিবার এই পরিমাণ ছিল ৩৩ হাজার ডলার (২৪ লাখ টাকা)।
দাম বাড়তে থাকায় ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের ভরসার জায়গা তৈরি হচ্ছে বিটকয়েনে। তাদের বিনিয়োগের কারণে এই ভার্চুয়াল মুদ্রা মূলধারার অর্থ প্রদানের পদ্ধতিতে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। খবর রয়টার্সের।
২০২০ সালে বিটকয়েন আগের দামের চেয়ে ৩০০ গুণ বৃদ্ধি পায়। আর বছর শেষের মাত্র দুই সপ্তাহে এই বৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশ।
এক দশকের বেশি সময় ধরে বাজারে এসেছে ব্লকচেন মুদ্রাটি। তবে ২০২০ সালে বৃহত্তর মার্কিন বিনিয়োগকারীদের কাছে এর চাহিদা বেড়েছে। মূলধারার মুদ্রার মূল্যস্ফীতি থেকে বাঁচতে এবং দ্রুত লাভের সম্ভাবনা থেকে এই ভার্চুয়াল মুদ্রার দিকে ঝুঁকছে বিনিয়োগকারীরা।
আরও পড়ুন : মাত্র ৬ মাসে মেহবুবা মুফতির ঘর সাজাতে কেন্দ্র সরকার কত খরচ করেছে জানেন?
সিএনএনের প্রতিবেদনে বিট কয়েন দাম বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনার ধাক্কা মোকাবিলায় মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার শুন্যের কাছাকাছি নামিয়ে এনেছে এবং এ অবস্থা দীর্ঘ থাকবে বলে ধরে নেয়া হচ্ছে।
বাজারে ডলারও দুর্বল হচ্ছে। এসব কারণেই বিনিয়োগকারীরা বিট কয়েনসহ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিতে অর্থ ঢালছেন।
বিশ্বব্যাপী ব্লকচেইন প্রকল্প চেইনলিংকের কো-ফাউন্ডার সের্গেই নাজারভ রয়টার্সকে জানিয়েছেন, খুব সম্ভবত বিটকয়েন প্রতি মূল্য শেষ পর্যন্ত এক লাখ ডলারে (৮০ লাখ টাকা প্রায়) পৌঁছাবে। কারণ লোকেরা সরকারি মুদ্রার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। করোনাভাইরাস অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস ত্বরান্বিত করছে।
অনলাইনে ডলার-পাউন্ড-ইউরোর পাশাপাশি কেনাকাটা করা যায় বিটকয়েন দিয়ে। তবে অন্যান্য মুদ্রাব্যবস্থায় যেমন সে দেশের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জড়িত থাকে, বিটকয়েনের ক্ষেত্রে তা নয়। ২০০৯ সালে সাতোশি নাকামোতো ছদ্মনামের কেউ কিংবা একদল সফটওয়্যার ডেভেলপার নতুন ধরনের ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার প্রচলন করে। এ ধরনের মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি নামে পরিচিতি পায়। নাকামোতোর উদ্ভাবিত সে ক্রিপ্টোকারেন্সির নাম দেওয়া হয় বিটকয়েন।
বিটকয়েন লেনদেনে কোনো ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অনলাইনে দুজন ব্যবহারকারীর মধ্যে সরাসরি (পিয়ার-টু-পিয়ার) আদান-প্রদান হয়। লেনদেনের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি নামের পদ্ধতি।