জাতীয়

‘প্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ দেখানো যৌন নির্যাতন নয়’

‘প্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ দেখানো যৌন নির্যাতন নয়’ - West Bengal News 24

দুদিন আগে ‘পোশাকের উপর দিয়ে মেয়েদের গায়ে হাত দিলে তা যৌন হেনস্থা নয়’ বা যৌন নির্যাতন হিসেবে গণ্য হতে হলে ‘যৌন উদ্দেশ্যে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ’ হওয়া প্রয়োজন বলে একটি বিতর্কিত রায় দেয় মুম্বাই হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার ফের একটি বিতর্কিত রায় দিয়েছেন একই আদালত। বলছেন, ‘প্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ দেখানো যৌন নির্যাতন নয়’।

পোকসো আইনের ধারায় এ রায় দেন গত দিনের রায় দেওয়া বিচারক। নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা রায়ের শুনানিতে বলেন, প্যান্টের জিপ খুলে রাখা অথবা যৌনাঙ্গ দেখানো যৌন নির্যাতনের আওতায় পড়ে না। পাশাপাশি জোর করে হাত ধরে রাখলেও সেটি যৌন নিগ্রহের আওতায় পড়ে না।

আরও পড়ুন : অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে গেলেন তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট

৫০ বছরের এক ব্যক্তি প্যান্টের জিপার খুলে নিজের যৌনাঙ্গ দেখিয়েছিলেন পাঁচ বছরের এক মেয়ে শিশুকে। ওই ঘটনায় সেশন কোর্ট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। কিন্তু মুম্বাই হাইকোর্ট পাকসো আইনের আওতায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৩৪২ নম্বর ধারা মোতাবেক ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় অভিযুক্তকে। এ সাজাও দেন নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা।

এই মামলায় আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে বিচারপতি পুষ্পা বলেন, ‘প্যান্টের জিপ খুলে রাখা অথবা যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করা যৌন নির্যাতনের আওতায় পড়ে না। কারণ, ত্বকের সঙ্গে সংস্পর্শ হয়নি। তবে, এটিকে যৌন হয়রানির আওতায় ফেলা যায়।’

গত মঙ্গলবার পোকসো আইনের ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী দেওয়া এক রায়ের শুনানিতে বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা বলেছিলেন, কোনো নাবালিকার যৌন নিগ্রহ প্রমাণ করতে গেলে শারীরিক সংস্পর্শ হয়েছে তার প্রমাণ দিতে হবে। জামাকাপড় না খুলে কেউ যদি স্তনে হাত দেয়, সেটি যৌন নিগ্রহের আওতায় পড়বে না। ২০১৬ সালে এক শিশুর যৌন হেনস্থার মামলায় এ রায় দেন পুষ্পা।

আরও পড়ুন ::

Back to top button