‘রোনালদো অহংকারী নয়; আড়ালে সে মহৎ হৃদয়ের মানুষ’
পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে নিয়ে মানুষের মনে কৌতুহলের অভাব নেই। রোনালদো কি অহংকারী, ঔদ্ধত্যে পরিপূর্ণ এক সুপারস্টার? নাকি এর বাইরে তার অন্য একটা রূপ আছে? ফুটবল বিশ্বে রোনালদোর আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা নতুন কোনো বিষয় নয়। তবে রোনালদোকে একদম সামনে থেকে দেখা কোচ ড্যান গ্যাসপার বলেছেন, সিআরসেভেনের মতো মানবিক যোদ্ধা তিনি আর দেখেননি।
গ্যাসপার বলেছেন, ‘খেলায় দুই ধরণের নেতা দেখা যায়। রোনালদো এমন একজন যে কথায় নয়, মাঠে নেমে নেতৃত্ব দিতে চায়। আর তার স্বভাবজাত আত্মবিশ্বাস এবং আগ্রাসনকেই অনেকে অহংকার ভেবে ভুল করে। গত কয়েকবছর তার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা এবং পরিণতিবোধের অনেক উন্নতি হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে অভিজ্ঞতার সঙ্গেই অর্জিত হয় প্রজ্ঞা, জ্ঞান এবং সহমর্মিতা। লোকে পর্দার আড়ালের রোনালদোকে জানে না; যার একটা মহান হৃদয় আছে।’
আরও পড়ুন : কবে মুক্তি পাচ্ছে পরিণীতি চোপড়ার ‘সাইনা’?
৩৬ বছর বয়সে এসেও সুপার ফিট রোনালদো। এই বয়সেও তিনি ম্যাচের পর ম্যাচ গোল করে যাচ্ছেন। মহাতারকার সুপার ফিট হওয়ার রহস্য জানিয়েছেন ড্যান গ্যাসপার। এই প্রসঙ্গে তিনি ২০১০ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের একটি অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টানেন। টুর্নামেন্টের মাঝে স্টিম রুমে একবার গ্যাসপার এবং রোনালদো মুখোমুখি বসেছিলেন। সেই সময়েই কোচ জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা কী?’ রোনালদোর জবাব ছিল স্পষ্ট, ‘জয়। আমি সেরা হতে চাই। সর্বকালের সেরা হতে চাই।’
রোনালদোর সেরা হওয়ার এই তাড়না নিয়ে গ্যাসপার বলেন, ‘ক্যারিয়ারের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতি দিন, মাস, বছর রোনালদো সেরা হওয়ার তাড়না নিয়েই বেঁচে থাকে। লক্ষ্য পূরণে সে নিয়মিতি কঠোর পরিশ্রম করে যায়। তাকে সবসময় পরামর্শ দিয়ে যায় সেরা মেডিক্যাল টিম, পুষ্টিবিদ এবং পারফরম্যান্স ট্রেনার। যাদের সম্মিলিত লক্ষ্য একটাই- সেরার সেরা হওয়া এবং আরো উঁচুতে ওঠা। রেকর্ডের পর রেকর্ড ধূলিসাৎ করে সর্বোচ্চ শৃঙ্গে চিরস্থায়ী আসন পাওয়াই রোনালদোর প্রধান লক্ষ্য।’