Jannah Theme License is not validated, Go to the theme options page to validate the license, You need a single license for each domain name.
রাজনীতিরাজ্য

বিজেপি নির্বাচনের আগে মিথ্যা বলে, তারপর পালিয়ে যায়, তোপ মমতার

বিজেপি নির্বাচনের আগে মিথ্যা বলে, তারপর পালিয়ে যায়, তোপ মমতার - West Bengal News 24

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর পর আজ বাঁকুড়ায় পালটা প্রচারে নামলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কোতলপুর, ইন্দাস সহ তিন জায়গায় সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোতুলপুর- ইন্দাসকে ভুলতে পারবো না। সিপিএমের হার্মদরা এখন বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে। আমাদের গদ্দাররা বিজেপির ওস্তাদ হয়েছে। বিক্রমপুরে সিপিএমের হার্মাদরা ছেলের মুণ্ড কেটে মায়ের কোলে দিয়ে দিয়েছিল। ছেলেটার নাম ছিল সালাম। তারপর আমি ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার ভাই ছিল সালাম। ও আমার বাড়িতে যেত, ভাইফোঁটা নিয়ে আসত। কিছুদিন আগে মারা গিয়েছে।

‘মা বোনেরা মনে রাখবেন এটা দিল্লির নির্বাচন নয়, বাংলার নির্বাচন। বিজেপি নির্বাচনের আগে মিথ্যে বলে। নির্বাচন হয়ে গেলে পালিয়ে যায়। তাই বিজেপিকে আমরা চাই না।’ ‘জঙ্গলমহলে এখন কোনও অশান্তি নেই। শান্তিতে আছে। জোড়াফুলকে ভোট দেবেন। জোড়াফুলকে ভোট দিলে বিনা পয়সায় রেশন দরজায় পৌঁছে দেব।’

তিনি এও বলেন, ‘বিনামূল্যে গ্যাস দিতে হবে। আমি গ্যাসের কানেকশন দেব পয়সা না নিয়ে আর গ্যাসের দাম করব ৮০০ টাকা, তা হতে পারে না।’ তিনি মা বোনের আস্বস্ত করে বলেন, ‘সবাইকে হাত খরচা দেব। বাড়়ির মেয়েরা ৫০০ টাকা করে হাত খরচা পাবেন। তপশিলিরা ৬০ বছর হলেই ১ হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছেন। বাড়ির একজনের কাস্ট সার্টিফিকেট থাকলেই বাকিদের হয়ে যাচ্ছে।’

আরো পড়ুন : ভোটের ইস্তেহার প্রকাশ কংগ্রেসের, প্রতি পরিবারকে মাসে ৫,৭০০ টাকা করে দেওয়ার আশ্বাস

তিনি মোদি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন ‘রেল বিক্রি করে দেবে, সেইল বন্ধ করে দেবে, বিএসএনএল বন্ধ করে দেবে বিজেপি। সব বেচে দেবে ওরা।’ তিনি আর ও বলেন, ‘জয়রামবাটির উন্নয়ন করেছি। দক্ষিণেশ্বর করেছি। বাঁকুড়ায় কয়লা আছে, ধান আছে, আলু আছে, বাঁকুড়ায় মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া আছে, সবাই একসঙ্গে থাকি। ‘বাঁকুড়ার ছেলেমেয়ার পড়াশোনায় ভাল, তাই এখানে বিশ্ববিদ্যালয় করেছি, মেডিক্যাল কলেজ আছে, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল আছে। আগামিদিনে আরও হবে।পড়ুয়াদের জন্য ক্রেডিট কার্ড। স্কুল বন্ধ, কিন্তু মিড ডেমিলের খাবার পাঠিয়েছি। বাচচাদের স্কুলের জুতো, ব্যাগ, বই কিনে দিয়েছি। ক্লাস নাইনের ছেলে মেয়েরা প্রতিবছর সাইকেল পাবে। দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্মার্ট ফোন, ট্যাব পেয়েছে।

বছরে ৪ মাস দু’য়ারে সরকার চলবে।’আলু চাষিরা চিন্তা করবেন না। আলু বিক্রি না হলে আমি কিনে বিক্রি করব। পৌরসভায় আমরা ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছি। লোকসভায় ৪০ শতাংশ মহিলাদের সংরক্ষণ করে দিয়েছি। পরিবর্তন বাংলায় হবে না, দিল্লিতে হবে। মোদী-শাহদের হটাতে হবে।
তিনি এও বলেন, ‘এটা বাংলার অস্তিত্বের সম্মান। তাই বামপন্থী বন্ধুদের বলবো, আমাদের ভোটটা দিন।

ছেলে ঘুমালো, পাড়া জুড়ালো, বর্গি এলো দেশে। সবার সব কেড়ে নিল, বাঁচবো মোরা কীসে? আমি ঘরে ঢুকে গেলে ওরা বাংলাকে দখল করে নেবে। দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বদলে দিয়েছে। আমি একটা পায়ে এমন শট মারবো যে মাঠের বাইরে বের করে দেব। তিনি কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, এজেন্টদের বলবো ভোট ও গণনার সময় কেউ কিছু দিলে খাবেন না। এমনকী বিড়িও নয়। ওরা খাবারের সঙ্গে অনেক কিছু মিশিয়ে দিতে পারে। ড্রাগ-ঘঙুমের ওষুধ থাকতে পারে। অজান্তের ক্ষতি করে দেবে। ভোট লুট হয়ে যাবে। ভোটের মেশিন ২০-৩০ জনকে পাহারা দেবেন। তিনি বলেন, ভোটের দিন বিজেপিকে বাঁকুড়ার মাটিতে রাজনৈতিকভাবে কবর দিন। প্রার্থী কে হয়েছে ভুলে যান, ধরে নিন প্রার্থী আমি। প্রার্থী জিতলে সরকারটা আমার হবে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button