আন্তর্জাতিক

সামনে এলো জর্জ ফ্লয়েড হত্যার নতুন ভিডিও ক্লিপ

সামনে এলো জর্জ ফ্লয়েড হত্যার নতুন ভিডিও ক্লিপ - West Bengal News 24

গত বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার পর এক প্রত্যক্ষদর্শীর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন অভিযুক্ত কর্মকর্তা ডেরেক চওভিন। ওই প্রত্যক্ষদর্শী তার কাছে ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরার কারণ জানতে চান। জবাবে নিজ টহল দলের গাড়িতে উঠতে উঠতে চওভিন জবাব দেন, ‘আমাদের এই ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার দরকার ছিলো, কারণ সে একজন আটকযোগ্য লোক। মনে হচ্ছিলো সে কিছু একটা করছে।’ বুধবার আদালতে এই ঘটনার নতুন একটি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়েছে। এতে প্রথমবারের মতো এই ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন’র প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত বছরের ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপলিসে জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশ হেফাজতে মারা যান। বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম দেওয়া এই ঘটনায় এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের বিচার সম্প্রতি শুরু হয়েছে। ডেরেক চাওভিন নামের ওই কর্মকর্তা হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড় চেপে ৯ মিনিট ধরে বসে আছেন, গত বছর এমন একটি ভিডিও যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে তীব্র ক্ষোভের সূত্রপাত ঘটায়।

আরও পড়ুন : ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা সোয়া ৩ লাখ ছাড়ালো

বুধবার আদালতে চওভিনের শরীরে থাকা ক্যামেরায় ধরা পড়া ফুটেজ আদালতে দেখানো হয়। এই ফুটেজের মাধ্যমে ঘটনা সম্পর্কে চওভিনের দৃষ্টিভঙ্গি উঠে আসে। এছাড়া একই দিন আদালতে স্বাক্ষ্য দেন ৬১ বছর বয়সী চার্লস ম্যাকমিলান নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানান জর্জ ফ্লয়েডকে আটক করার ঘটনা তার সামনেই ঘটে। তিনি ফ্লয়েডকে পুলিশের কথা মেনে নিতে উৎসাহ দিয়ে বারবার বলতে থাকেন, ‘তুমি (ওদের সঙ্গে) পারবে না’। ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চওভিন চেপে ধরার পর ফ্লয়েড সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। ওই সময়ে ম্যাকমিলানকে পুলিশের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ঘাড় থেকে পা সরাও।

ফ্লয়েডের অসাড় দেহ অ্যাম্বুলেন্সে তোলার পর ম্যাকমিলানের সঙ্গে চওভিনের সংক্ষিপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। কারণ হিসেবে ম্যাকমিলান বলেন, তিনি যা দেখেছিলেন তা সঠিক আচরণ ছিলো না।

বুধবার আদালতে নতুন ভিডিও ফুটেজ দেখানোর পর কান্নায় ভেঙে পড়েন চার্লস ম্যাকমিলান। তিনি বলেন, ‘আমার অসহায় লাগছিলো। আমার মা আর বেঁচে নেই। তার (ফ্লয়েডের) আকুতি আমি বুঝতে পারছিলাম।’

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চওভিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। তবে ওই ঘটনার পর থেকেই তাকে পুলিশ বিভাগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য