জাতীয়

হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকায় মাত্র ২ ঘণ্টায় প্রাণ গেল ২৪ করোনা রোগীর

হাসপাতালে অক্সিজেন না থাকায় মাত্র ২ ঘণ্টায় প্রাণ গেল ২৪ করোনা রোগীর - West Bengal News 24

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছে দেশ জুড়ে, তখন অক্সিজেনের সংকট নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতাল গুলিতে প্রায়সই অক্সিজেনের অভাব দেখা দিচ্ছে। আর তার খেসারত দিতে হচ্ছে রোগীদের।

এদিন কর্ণাটকেও ফের শ্বাসবায়ুর অভাবে বড়সড় বিপর্যয় দেখা দিল। অক্সিজেন না পেয়ে এক হাসপাতালেই মারা গেলেন ২৪ জন রোগী। মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের জীবনযুদ্ধ। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের চামরাজানগর জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে। মৃতেরা সকলেই ছিলেন করোনা আক্রান্ত।

জানা গেছে সালে সোমবার গভীর রাতে এই বিপর্যয় ঘটে চামরাজানগর জেলা হাসপাতালে। রাত ১২টা থেকে ২টোর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি মোট ২৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই এমন ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মোট ১৪৪ জন রোগী। এই ঘটনায় স্বভাবতই বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে কর্ণাটক সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদিয়ুরাপ্পা জেলা শাসকদের ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। ঠিক কী কারণে এতগুলো মানুষকে মরতে হল, কেন অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজা বোম্মাইও। অবিলম্বে এ ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেছে প্রশাসন।

স্থানীয় মন্ত্রী প্রতাপ সিমহা বলেন, ‘গত রাত্রে যখন মিডিয়ার কাছ থেকে এ ব্যাপারে আমি খবর পাই, সঙ্গে সঙ্গেই ডিসি এবং এডিসির সাথে কথা বলি। তাঁরাই অক্সিজেনের দায়িত্বে রয়েছেন। আমরা ১৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থাও করি। কিন্তু তবু এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে যায়। আমরা শোকাহত।’

এদিকে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে কর্ণাটকের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। টুইট করে তিনি বলেছেন, ‘এটা মৃত্যু না খুন? মৃতদের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আর কত প্রাণ গেলে এই ব্যবস্থা চোখ খুলবে?’ কর্ণাটকের করোনা পরিস্থিতিও দিন দিন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এ পর্যন্ত সে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৯২৮। একদিনেই প্রাণ গেছে ১৬৭ জনের।

সূত্র : দ্য ওয়াল

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button

দয়া করে ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনের অনুমতি দিন

দেখে মনে হচ্ছে আপনি কোনও বিজ্ঞাপন ব্লকার ব্যবহার করছেন। আমরা বিজ্ঞাপনের উপর ভরসা করি ওয়েবসাইটের ফান্ডের জন্য