ঝাড়গ্রাম

ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি আসনে তৃণমূলের বাজিমাৎ

স্বপ্নীল মজুমদার

ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি আসনে তৃণমূলের বাজিমাৎ - West Bengal News 24

ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রাম জেলায় অভূতপূর্ব জয় পেল তৃণমূল। চারটি আসনে বড় ব্যবধানে জয়ী হলেন তৃণমূলের চার প্রার্থী। ঝাড়গ্রাম বিধানসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী সাঁওতালি সিনেমার অভিনেত্রী বিরবাহা হাঁসদা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সুখময় শতপথীকে ৩৮ হাজার ২৪০ ভোটে পরাজিত করেছেন। এই বিপুল জয় ঝাড়গ্রামবাসীকে উৎসর্গ করেছেন বিরবাহা।

এই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্যা মধুজা সেনরায় হাজার নয়েক ভোট পেয়েছেন। জেলায় সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি দেবনাথ হাঁসদা। তিনি বিজেপির পালহান সরেনকে ৩৯,৪৯৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু নয়াগ্রাম কেন্দ্রের দু’বারের জয়ী বিধায়ক।

এবারও তিনি বিজেপি প্রার্থী বকুল মুর্মুকে ২২,৭৫৭ ভোটে পরাজিত করেছেন। গোপীবল্লভপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সঞ্জিত মাহাতোকে ২৩,৭৭৮ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের চিকিৎসক-প্রার্থী খগেন্দ্রনাথ মাহাতো।

এবার বিজেপি দাবি করেছিল, চারটি কেন্দ্রেই তাঁদের জয় হবে। সেই দাবি অসার প্রমাণ করে দিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা।

তবে এবারেও কার্যত সম্মানজনক জনসমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হল বামেরা। ন্যূনতম ভোট পাননি সংযুক্ত মোর্চার বাম প্রার্থীরা। জামানত জব্দ হয়েছে তাঁদের। জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “জঙ্গলমহলের শান্তি ও উন্নয়নের প্রতীক হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জঙ্গলমহলবাসীকে দশ বছর ধরে ভাল রেখেছেন। তাই জঙ্গলমহলবাসীও শান্তি ও উন্নয়নে এবারও আস্থা রেখেছেন।”

বিজেপির নেতারা এদিন কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। বিজেপির ঝাড়গ্রাম বিধানসভার প্রার্থী ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, “আমরা ভাল ভোট পেয়েছি। কিন্তু জিততে পারিনি। পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করা হবে।”
এদিন ভোট গণনার শেষ বেলায় কালবৈশাখীর প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি ধরতে সবুজ আবির খেলায় মাতেন তৃণমূলের কর্মীরা। মুখ শুকনো করে এদিন বিজেপির প্রার্থী ও কর্মীদের ঘরমুখো হতে দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন ::

Back to top button