করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাড়ল আরও ৭০ লক্ষ মানুষের রোজগার
দৈনিক করোনা সংক্রমণ গত কয়েক দিন ধরে দেশে সাড়ে তিন লাখের বেশি। শনিবার সংক্রমণ চার লাখের গণ্ডি পেরিয়েছিল। মৃত্যুর মিছিল জারি। করোনায় লাগাম পরাতে বহু রাজ্য লকডাউন জারি করছে। নয়তো নাইট কার্ফু চালু। বাংলায় আবার বন্ধ শপিং মল, রেস্তোরাঁ, জিম। দোকান খোলার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কাজ হারাচ্ছেন বহু মানুষ।
পরিসংখ্যান বলছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে শুধু এপ্রিলেই কাজ হারিয়েছেন ৭০ লক্ষ জন। গত চার মাসের তুলনায় দেশে বেকারত্বের গ্রাফ সবথেকে বেশি উঠেছে এই এপ্রিলে। প্রায় ৮ শতাংশের কাছে ছিল বেকারত্ব। মার্চে বেকারত্বের হার ছিল ৬.৫ শতাংশ। এপ্রিলে তা বেড়ে হয়েছে ৭.৯৭ শতাংশ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (সিএমআইই) এই পরিসংখ্যান পেশ করেছে।
সিএমআইই-এর ম্যাজিং ডিরেক্টর মহেশ ব্যাস জানালেন, লকডাউনের কারণেই কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। দেশে সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। চিকিত্সা ব্যবস্থার ওপরই এখন জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। তাই মে মাসেও পরস্থিতি একই থাকবে বলে মনে করছেন মহেশ ব্যাস। বেকারত্বের সমস্যা থেকেই যাবে। অর্থনীতিবিদ রাহুল বাজোরিয়া মনে করেন, দেশে টিকাকরণের হার অত্যন্ত কম। সেকারণেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না করোনা। ধাক্কা খাচ্ছে অর্থনীতি।
সিএমআইই পরিসংখ্যান আরও একটি বিষয় জানিয়েছে। ভারতের গ্রামে বেকারত্ব আরও বেড়েছে। তার কারণ কাজ হারিয়ে ঘরে ফিরে যাচ্ছেন পরিযায়ীরা। যা হয়েছিল গত বছরেও। যখন করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়েছিল দেশে। অন্য একটি সমীক্ষা বলছে, এপ্রিলে সবথেকে বেশি কাজ হারিয়েছেন উত্পাদক সংস্থার কর্মীরা। এপ্রিলে লেবর ফোর্স পার্টিসিপেশনও নেমেছে ৪০ শতাংশে। অর্থাত্ দেশে যত জনের চাকরি আছে আর যত জন চাকরি খুঁজছে, সেই দুইয়ের যোগফলের হারকেই বলে লেবর ফোর্স পার্টিসিপেশন। মহেশ ব্যাস জানালেন, কিছু লোক হতাশ হয়ে আর কাজই খুঁজছেন না। গ্রামে নিজের বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। সেকারণে কমছে লেবর ফোর্স পার্টিসিপেশন।
সূত্র : আজকাল